শিশুর পড়ার ক্ষমতা (Reading)
আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে মানুষ ভাবত যে, শিশুর পড়ার ক্ষমতা জন্মের প্রায় কয়েক বছর পর তৈরী হয়। তবে এখন আমরা জানতে পেরেছি তা মিথ্যা। আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং কম্পিউটার ব্যবহার করে শিশুদের মস্তিষ্কের উপর পর্যবেক্ষণ করে গবেষকরা জানিয়েছেন যে, মানব মস্তিষ্ক আল্লাহ এমনভাবে তৈরী করেছেন যে, ভুমিষ্ট হবার পুর্বেই অর্থ্যাৎ, মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থাতেই মানব শিশু শুনতে, দেখতে এবং পড়তে পারে। এমনকি মাতৃগর্ভের বাইরে প্রচণ্ড শব্দ হলে মানব শিশু মাতৃগর্ভের ভিতরে থাকা অবস্থাতেই তার উত্তর দেয় নড়াচড়া করার মাধ্যমে। উপরন্তু, গর্ভাবস্থায় মায়ের জীবনাচরণ মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর উপর প্রভাব ফেলে। কোরআনের (৯৬:১-৫) এ এই বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ (1) خَلَقَ الْإِنْسَانَ مِنْ عَلَقٍ (2) اقْرَأْ وَرَبُّكَ الْأَكْرَمُ (3) الَّذِي عَلَّمَ بِالْقَلَمِ (4) عَلَّمَ الْإِنْسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ (5)
অর্থঃ (হে মোহাম্মদ), তুমি পড়ো, (পড়ো) তোমার মালিকের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন জমাট বাঁধা রক্ত থেকে। তুমি পড়ো এবং (জেনে রাখো) তোমার মালিক বড়োই মেহেরবান। তিনি মানুষকে কলম দ্বারাই (জ্ঞান–বিজ্ঞান) শিখিয়েছেন। তিনি মানুষকে (এমন সবকিছু) শিখিয়েছেন যা (তিনি না শেখালে) সে কখনও জানতে পারতনা।
Read in the name of your lord who created. Created man from a leach. Read and your lord is the most generous. He who taught by the pen. Taught man what he never knew.
উপরের আয়াতে ভাল করে লক্ষ্য করলে দেখবেন, প্রথমবার পড়তে বলা হয়েছে যখন মানব শিশু থাকে জমাট বাঁধা রক্ত অবস্থায়। অর্থ্যাৎ, অবস্থাটি মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থাকে নির্দেশ করে। অর্থ্যাৎ ভুমিষ্ট হবার পুর্বে। আর দ্বিতীয়বার পড়তে বলা হয়েছে যখন আল্লাহ মানুষকে কলম দ্বারা শিক্ষা দিয়েছেন। অর্থ্যাৎ ভুমিষ্ট হবার পরে। এখন প্রশ্ন হল ভুমিষ্ট হবার পুর্বে আল্লাহ পড়তে বলবেন কেন? আধুনিক বিজ্ঞানের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থাতেই মানব শিশু শুনতে, দেখতে এবং পড়তে পারে। এমনকি মাতৃগর্ভের বাইরে প্রচণ্ড শব্দ হলে মানব শিশু মাতৃগর্ভের ভিতরে থাকা অবস্থাতেই তার উত্তর দেয় নড়াচড়া করার মাধ্যমে। কোরআনে সঠিকই বলা হয়েছে।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে জানলেন ভুমিষ্ঠ হবার পুর্বেই মানব শিশু শুনতে, দেখতে ও পড়তে পারে? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।