রাব্বাকা ফাকাব্বির (Rabbaka Fakabbir)
কোরআনে যে আলৌকিক তা কোরআনের ভাষার দিকে লক্ষ্য করলেই অনুধাবন করা যায়। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) লিখতে জানতেন না। যখন ওহী তার উপর নাযিল হত, তখন তিনি তা বলতেন আর সাহাবীরা তা লিখে নিতেন। ইংরেজিতে palindrome নামক ভাষাগত সৌন্দর্যের একটি বিষয় আছে। যেমন
RACECAR অথবা BOB. এই শব্দ দুইটিতেই প্রথমে ও শেষে একই অক্ষর ব্যবহৃত হয়েছে। আবার, দ্বিতীয় এবং শেষের আগের অক্ষরটিও একই। তৃতীয়তি এবং শেষ থেকে তৃতীয় নম্বর অক্ষরটিও একই। এবং সবার মাঝখানে রয়েছে E.
-3 | -2 | -1 | 0 | 1 | 2 | 3 |
R | A | C | E | C | A | R |
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
উপরের ছকে,
1 = R = R = 7
2 = A = A = 6
3 = C = C = 5
4 = E = মধ্যবর্তী স্থান
এবার আসুন, কোরআনের (৭৪:৩) আয়াতটির দিকে লক্ষ্য করি।
وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ
আরবি و অক্ষরটি বাক্যের শুরুতে বিভিন্ন কারনে ব্যবহৃত হয়। আমরা যেমন ইংরেজি বাক্যের প্রথম অক্ষরটির জন্য ক্যাপিটাল অক্ষর ব্যবহার করি ঠিক তেমনি আরবি বাক্যের শুরুতেও অনেক সময় و অক্ষরটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আরবি ব্যকরণে মোট ২১ টি কারণে বাক্যের শুরুতে و অক্ষরটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এখন আমরা (৭৪:৩) আয়াতটির و অক্ষরটি ব্যতীত বাকী অংশটুকুর দিকে লক্ষ্য করব। এখানেও উপরের RACECAR শব্দের মতই মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
رَبَّكَ فَكَبِّرْ
ر | ب | ب | ك | ف | ك | ب | ب | ر |
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 | 9 |
উপরের ছকে,
1 = ر = ر = 9
2 = ب = ب = 8
3 = ب = ب = 7
4 = ك = ك = 6
5 = ف = মধ্যবর্তী স্থান
কিন্তু ইংরাজীতে رَبَّكَ فَكَبِّرْলিখতে গেলে তা হবে, RABBAKAFAKABBIR
অর্থ্যাৎ, হুবহু মিলছেনা। রাসুল তার ওহী শুধু মুখে উচ্চারণ করেছিলেন আর সাহাবীরা তা লিখে নিয়েছিলেন। তখন কেউ জানতনা যে, শুধুমাত্র উচ্চারনের জন্যই নয় বরং رَبَّكَ فَكَبِّرْ এর লিখিতরুপেও আলৌকিকত্ব রয়েছে যা আল্লাহর মহত্ত্ব প্রতিনিয়ত বর্ণনা করে চলেছে। আর এই অলৌকিকত্ব বুঝতে হলে আরবি ভাষা জানতে হবে। অন্য ভাষায় কিছু হয়ত বুঝা যাবে কিন্তু পরিপুর্নভাবে কোরআনের ভাষাগত আলৌকিকত্ব অনুধাবন করা সম্ভব হবেনা।