যৌন হয়রানি (Sexual Harassment)

Sexual harres

যৌন হয়রানি (Sexual Harassment)

শুধু অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলিতেই নয় বরং উন্নত দেশগুলিতেও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি একটি নিত্যদিনের ঘটনা। ইসলাম অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীর জন্যে আলাদা ব্যবস্থা রাখতে হয়। শরীয়তের নিয়ম এবং পর্দার নিয়ম ভাঙলেই সেখানে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। অসৎ কিন্তু বড় পদাধিকারের অধিকারী ব্যক্তি কর্মক্ষেত্রে তার অধীনস্ত কর্মীকে বৈষম্যমূলক সুবিধা দিয়ে অথবা অতিরিক্ত মানসিক ও শারীরিক কাজের চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে যৌন আবেদন প্রকাশ করে। কুপ্রস্তাবে রাজী না হলে শুরু হয় যৌন হয়রানি। আর কুপ্রস্তাবে রাজী হলে তাকে নিয়ে শুরু হয় অন্ধকারের ব্যবসা।  কোরআনেও এ সংক্রান্ত নিন্মের (১২:২৩) আয়াতটি উল্লেখ্য।

وَرَاوَدَتْهُ الَّتِي هُوَ فِي بَيْتِهَا عَنْ نَفْسِهِ وَغَلَّقَتِ الْأَبْوَابَ وَقَالَتْ هَيْتَ لَكَ قَالَ مَعَاذَ اللَّهِ إِنَّهُ رَبِّي أَحْسَنَ مَثْوَايَ إِنَّهُ لَا يُفْلِحُ الظَّالِمُونَ (23)

অর্থঃ (একদিন এমন হল,) সে যে মহিলার ঘরে থাকত, সে তাকে তার প্রতি (অসৎ উদ্দেশ্যে) আকৃষ্ট করতে চাইল…

And she, in whose house he was, sought to seduce him.

উপরের আয়াত থেকে খুব সহজেই অনুধাবন করা যায় যে, নারী ও পুরুষের কর্মক্ষেত্র আলাদা হওয়া উচিত। পর্দার বিধান থাকা উচিত। কোরআনে অন্য একটি স্থানে নারীদের চক্রান্তকে জঘন্ন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও, আল্লাহর রহমতে ইউসুফ নবী ঐ অসৎ নারীর চক্রান্ত থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। আর এ জন্যই বড় বড় প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘লিঙ্গ সমতার’ উপর বিভিন্ন ট্রেনিং আয়োজন করা হয়। পুরুষ শাসিত দেশে উঁচু পদের পুরুষেরা যেমন ক্ষমতা ও টাকার অন্যায় সুবিধা দিয়ে নারীদের যৌন হয়রানি করতে পারে, তেমনি, রুপ ও অহঙ্কারের লোভ দেখিয়ে অসৎ নারীরাও স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করতে পারে, যা প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিকতাকে বিনষ্ট করে।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি বড় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ছিলেন যিনি মানুষের যৌন হয়রানির উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *