মাক্কা এবং বাক্কা

Macca

মাক্কা এবং বাক্কা

মাক্কা এবং বাক্কা একই শহরের দুইটি ভিন্ন নাম। অনেকের মতে ‘বাক্কা’ হল আগের নাম এবং ‘মাক্কা’ হল পরের নাম। ভাষাবিদদের মতে মাক্কা হল আসল নাম বা সম্পুর্ন নাম আর বাক্কা হল ছোট নাম। কোরআনে দুটো নামই একবার করে ব্যবহৃত হয়েছে।

সুরা আল ইমরানের (০৩:৯৬) নং আয়াতে বাক্কা শহরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِلْعَالَمِينَ (96)

অর্থঃ নিশ্চয়ই গোটা মানব জাতির জন্যে সর্বপ্রথম যে ঘরটি বানিয়ে রাখা হয়েছিল তা ছিল বাক্কায়, এ ঘরকে কল্যাণ মঙ্গলময় এবং মানব কুলের দিশারীটি বানানো হয়েছিল।

উপরের আয়াতটি হজ্জ সম্পর্কিত। আর হজ্জের সাথে ভিড়ের সম্পর্ক আছে। আর বাক্কা শব্দটিও ভিড়ের সাথে সম্পর্কিত।

কিন্তু,

সুরা ফাতহের (৪৮:২৪) নং আয়াতে মাক্কা শহরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে,

وَهُوَ الَّذِي كَفَّ أَيْدِيَهُمْ عَنْكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ عَنْهُمْ بِبَطْنِ مَكَّةَ مِنْ بَعْدِ أَنْ أَظْفَرَكُمْ عَلَيْهِمْ وَكَانَ اللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرًا (24)

অর্থঃ (তিনিই মহান আল্লাহ), যিনি মক্কা নগরের অদূরে তাদের উপর তোমাদের নিশ্চিত বিজয় দানের পর তাদের হাত তোমাদের থেকে এবং তোমাদের হাত তাদের থেকে নিবৃত্ত করেছেন, আর তোমরা যা করছিলে আল্লাহ তায়ালা তার সবকিছুই দেখছিলেন।

এই সুরাটি হজ্জের সাথে বা ভিড়ের সাথে সম্পর্কিত নয়। আর এজন্যই এখানে ‘বাক্কা’ ব্যবহৃত না হয়ে ‘মাক্কা’ ব্যবহৃত হয়েছে।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি একজন ভাষাবিজ্ঞানী ছিলেন, যিনি ওহী বর্ননার সময় কোথায় ‘মাক্কা’ হবে আর কোথায় ‘বাক্কা’ হবে-তা সতর্কভাবে ভেবে ভেবে নির্ভুল্ভাবে কোরআন রচনা করেছেন, অথচ ইতিহাস বলে তিনি পড়তেও জানতেন না এবং লিখতেও জানতেন না? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *