মধ্যাকর্ষন তরঙ্গ (Gravitational waves)

Waves

মধ্যাকর্ষন তরঙ্গ (Gravitational waves)

মহাশূন্যে সময়ের বক্রতাই হল মধ্যাকর্ষন। মধ্যাকর্ষন হল একধরনের তরঙ্গ। মহাশূন্যে সময়ের স্তর (তন্তু বা সূতা) শান্ত ও স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে। কিন্তু, মধ্যাকর্ষন তরঙ্গগুলো সময়ের সেই স্তরগুলোতে ঢেউয়ের মত অস্থিরতা তৈরী করে। মহাকাশে চলন্ত ভারী ভারী গ্রহ নক্ষত্রগুলো তাদের নিজেদের থেকে বাইরের দিকে এ ধরনের ঢেউ সৃষ্টি করে। আর এ ঢেউগুলো আলোর গতিতে ছুটে চলে। মহাশূন্যে সময়ের মধ্যে এগুলোই আসল তরঙ্গ। এসকল বিষয়ে প্রায় ১৪৫০ বছর আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যখন এই মধ্যাকর্ষন তরঙ্গ আবিষ্কারও হয়নি। কোরআনে (৫২:৯) উল্লেখ করা হয়েছে।

٩  يَوْمَ تَمُورُ السَّمَاءُ مَوْرًا

অর্থঃ যে দিন আসমান ভীষনভাবে আন্দোলিত হতে থাকবে।

On the Day when the heaven vibrates in waves.

উপরের আয়াতে ‘তামুর’ শব্দের অর্থ হল কেঁপে উঠা। এই একই শব্দ কোরআনের অন্য একটি আয়াতেও (৬৭:১৬) আছে যেখানে ভুমিকম্পের কম্পনের কথা বলা হচ্ছে। পৃথিবীতে ভুমিকম্পের সময় কম্পন বা তরঙ্গের সৃষ্টি হয়। সুতরাং, মহাকাশেও কেয়ামতের দিন কম্পন সৃষ্টি হবে। আমরা জানি, কম্পন থেকেই তরঙ্গের সৃষ্টি হয়। আমরা আধুনিক বিজ্ঞানের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, মহাকাশে মধ্যাকর্ষনের কারনে তরঙ্গ বা কম্পন সৃষ্টি হয়।মধ্যাকর্ষন তরঙ্গ যখন কোন বস্তুর ভেতর দিয়ে যায়, তখন মধ্যাকর্ষন তরঙ্গ ঐ বস্তুকে প্রসারিতও করতে পারে আবার সংকুচিতও করে দিতে পারে। তবে তা সাগরের ঢেউ এর মত বস্তুটিকে তার স্থান থেকে সরিয়ে দেয় না। কোরআন অনুযায়ী তরঙ্গের কারনে কম্পন সৃষ্টি হয়। আর আধুনিক বিজ্ঞানের মাধ্যমে আমরা সম্প্রতি জানতে পেরেছি, মধ্যাকর্ষন তরঙ্গ একটি বস্তুকে স্থানচ্যুত না করেই, বস্তুটিকে প্রসারিত বা সংকুচিত করতে পারে। সাগরে জাহাজ চলাচলের সময় যেমন ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়, তেমনি নক্ষত্ররা মহাশূন্যে চলার কারনে সময়ের স্তরের মধ্যে তরঙ্গ বা ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়।

এই বিষয়ে আজ থেকে প্রায় ১৪৫০ বছর আগেই কোরআনে (২১:৩৩) উল্লেখ করা হয়েছে।

অর্থঃ আল্লাহ তায়ালাই রাত, দিন, সুরুজ ও চাঁদকে পয়দা করেছেন; (এদের) প্রত্যেকেই (মহাকাশের) কক্ষপথে সাতার কেটে যাচ্ছে।

٣٣  وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ ۖ كُلٌّ فِي فَلَكٍ يَسْبَحُونَ

It is He who created the night and the day, and the sun and the moon, everything swimming in an orbit.

উপরের আয়াতে ‘ইয়াসবাহুন’ শব্দের অর্থ হল সাতার কাটা। সম্প্রতি আমরা জানতে পেরেছি, সাতার কাটার কথা কেন বলা হয়েছে। কারণ, জাহাজ চললে পানিতে তরঙ্গ সৃষ্টি হয় আর নক্ষত্র চললে মহাকাশে সময়ের স্তরের মধ্যে তরঙ্গ সৃষ্টি হয়।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে জানলেন মহাকাশে নক্ষত্ররা মহাকাশে চলার ফলে মধ্যাকর্ষন তরঙ্গের সৃষ্টি হয়? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *