বড় স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া
প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কল্যাণের জন্য সুশাসন অত্যন্ত জরুরী। প্রতিটি বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই আলাদা আলাদা ডিভিশন থাকে এবং প্রতিটি ডিভিশনের আলাদা আলাদা দায়িত্ব থাকে। আর এইসব দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ডিভিশনগুলোর মধ্যে স্বার্থগত দ্বন্দ্ব বা মতানৈক্য দেখা দেয়। তখন প্রত্যেকটি ডিভিশন নিজেদের স্বার্থ নিয়ে আলাদা হয়ে যেতে চায়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে। সেই লক্ষ্য অর্জনে সকলে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু, এর মধ্যেই স্বার্থপর ব্যক্তিরা প্রতিষ্ঠানেরই নির্দিষ্ট লক্ষ্য ভুলে গিয়ে নিজের স্বার্থ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। ফলে ব্যক্তি স্বার্থের কাছে সামষ্টিক স্বার্থ পরাজিত হয় এবং শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। এবং প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের মধ্যে মেরুকরণ সৃষ্টি হয় যা ব্যবস্থাপনা কাঠামোকে ধ্বংস করে দেয়। এ বিষয়ে কোরআনে (৩৮:২৬) উল্লেখ করা হয়েছে।
يَا دَاوُودُ إِنَّا جَعَلْنَاكَ خَلِيفَةً فِي الْأَرْضِ فَاحْكُمْ بَيْنَ النَّاسِ بِالْحَقِّ وَلَا تَتَّبِعِ الْهَوَى فَيُضِلَّكَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ إِنَّ الَّذِينَ يَضِلُّونَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ بِمَا نَسُوا يَوْمَ الْحِسَابِ (26)
অর্থঃ অতএব তুমি মানুষদের মাঝে ন্যায় বিচার কর এবং কখনও নিজের খেয়াল খুশীর অনুসরণ কোর না।
So judge between the people with truth and donot let your personal desires interfere.
অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত ব্যক্তি কেন্দ্রিক পরিচালিত হয়। ফলে সেখানে গণতান্ত্রিক মতামতের গুরুত্ব কমে যায়। ফলে সামষ্টিক লক্ষ্য বাস্তবায়িত হতে পারেনা। কিন্তু উন্নত দেশগুলিতে সামষ্টিক স্বার্থ ও লক্ষ্য গুরুত্ব পাওয়ায় ন্যাশনাল পলিসিতেও তার প্রভাব পরে। উন্নত দেশগুলোতে শ্রমিকের অধিকারগুলো নিশ্চিত করা হয়। ফলে উন্নত দেশগুলোতে শ্রমের মূল্য বেশি। কিন্তু অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দেখা যায় তার উল্টো চিত্র। এসব দেশগুলোতে দুর্নীতি ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকায় ব্যক্তি স্বার্থই প্রাধান্য পায়। ফলে প্রতিষ্ঠানের সামষ্টিক স্বার্থ কোন আলোর মুখ দেখতে পায়না।