ব্যয়ের সীমা(Spending range)
সাধারণত আমরা জানি, চাহিদা হল অসীম। ইসলামী জীবন ব্যবস্থায়, চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বলা হয়েছে। কখনও হতাশ হয়ে গেলে যাদের অবস্থা খারাপ তাদের দিকে তাকিয়ে নিজের ভাল অবস্থার জন্য আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে বলেছেন। কাউকে ছোট করে বা কারও ক্ষতি করে ইসলাম কখনও নিজেকে বড় করতে বলে না। ইসলামী অর্থব্যবস্থায় সঞ্চয় করা অপেক্ষা ব্যয় করার দিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। কারণ, ব্যয় না হলে দ্রব্য ক্রয় হবেনা। দ্রব্য বিক্রি না হলে উৎপাদনের চাহিদা তৈরী হবেনা। ফলে সম্পুর্ণ উৎপাদন ব্যবস্থা ও অর্থব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে। ইসলামী অর্থব্যবস্থায় যাকাত দেয়া হল ফরজ। এছাড়াও দান ও সদাকায় উৎসাহ দেয়া হয়। আর যাকাত, দান ও সদাকা সবই হয় ব্যয়। সমাজে দানশীল ও কৃপণ উভয় ধরণের ব্যক্তিই থাকে। কিছু লোক সারা জীবন জমিয়ে জমিয়ে সম্পদের পাহাড় তৈরী করে আর শেষ বয়সে চিকিৎসা করতে করতে সেই অর্থ ব্যয় করে। আবার কিছু লোক আছে অন্যায় করে এবং সুদের মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় তৈরী করে আর সেই সম্পদ দান করে নিজের সুনাম বৃদ্ধির জন্যে। আবার একধরণের ব্যক্তি আছে যারা অপব্যয় করে। আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা তাদের উদ্দেশ্য হয় না। আল্লাহ কোরআনে (২৫:৬৭) আমাদের শিখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে আমাদের ব্যয় করতে হবে।
وَالَّذِينَ إِذَا أَنْفَقُوا لَمْ يُسْرِفُوا وَلَمْ يَقْتُرُوا وَكَانَ بَيْنَ ذَلِكَ قَوَامًا (67)
অর্থঃ তারা যখন ব্যয় করে তখন অপব্যয় (যেমন) করে না, (তেমনি কোন প্রকার) কার্পন্যও তারা করেনা; বরং তাদের ব্যয় (সবসময় এ দুয়ের) মধ্যবর্তী (একটি ভারসাম্যমূলক) অবস্থায় দাড়িয়ে থাকে।
And they (true men of Allah) are those who neither spend excessively nor sparingly, rather are they moderate in spending.
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি ঐ আমলে মানুষের ব্যয় জনিত আচরণের উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।