বজ্রপাত(Thunder)
বজ্রপাতের আরবী হল ‘রাদ’। সম্পুর্ণ কোরআনে ‘রাদ’ শব্দটি এসেছে মাত্র দুইবার। এর মধ্যে প্রথমবার এসেছে (২:১৯) নং আয়াতে।
أَوْ كَصَيِّبٍ مِنَ السَّمَاءِ فِيهِ ظُلُمَاتٌ وَرَعْدٌ وَبَرْقٌ يَجْعَلُونَ أَصَابِعَهُمْ فِي آَذَانِهِمْ مِنَ الصَّوَاعِقِ حَذَرَ الْمَوْتِ وَاللَّهُ مُحِيطٌ بِالْكَافِرِينَ (19)
- লক্ষ্য করুণ আয়াত নম্বরটির দিকে। ২ এর অর্থ হতে পারে কোরআনে ‘রাদ’ শব্দটি দুইবার এসেছে। তাহলে ১৯ এর অর্থ কি হতে পারে? উপরের আয়াতে শব্দ আছে ১৯ টি।
- উপরের আয়াতের শেষ থেকে শুরুর দিকে আসতে থাকলে ‘রাদ’ শব্দটি হবে ১৩ তম শব্দ। এবার দ্বিতীয় যে আয়াতটিতে ‘রাদ’ শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে সেটি হল (১৩:১৩) নং আয়াত। এবং এই আয়াতটিতেও ১৯ টি শব্দ আছে। সত্যিই অবাক হবার বিষয়।
- ‘রাদ’ যে দুইটি আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে, সেই দুটো আয়াতেই ১৯ টি করে শব্দ পাওয়া গেছে। আসুন, এবার অক্ষরগুলো গনণা করে দেখি কি হয়। দুইটি পদ্ধতিতে অক্ষর গণনা করা যায়। একটি হল গ্রামার নিয়ম মেনে আর অন্যটি হল কোরআন লিখন পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে। গ্রামার নিয়ম মেনে উভয় আয়াতেই ৮৩ টি করে অক্ষর আছে। আবার যদি কোরআন লিখন পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে গণনা করা হয় তাহলেও প্রতিটি আয়াতে ৮৬ টি করে অক্ষর পাওয়া যাবে।
- ‘রাদ’শব্দটি তৈরী হতে তিনটি অক্ষর প্রয়োজন হয়। এরা হল ‘রা’, ‘আইন’ এবং ‘দাল’। প্রথম (২:১৯) আয়াতে ‘রা’, ‘আইন’ এবং ‘দাল’ এর পুনরাবৃত্তি হয়েছে ‘রা’= ৪, ‘আইন’= ৪ এবং ‘দাল’= ১ বার। যাদের যোগফল = ৪+৪+১=৯। আবার, দ্বিতীয় (১৩:১৩) আয়াতে ‘রা’, ‘আইন’ এবং ‘দাল’ এর পুনরাবৃত্তি হয়েছে ‘রা’= ২, ‘আইন’= ২ এবং ‘দাল’= ৫ বার। যাদের যোগফল = ২+২+৫=৯। এই যোগফল উপরের যোগফলের সমান।
- আপনারা আগেই দেখেছেন, সুরা ফাতিহা বিভিন্নভাবে কোরআনের অন্য সুরাগুলোরা সাথে গাণিতিক ভাবে সম্পর্কিত। এবার আমরা ‘রা’, ‘আইন’ এবং ‘দাল’ এর পুনরাবৃত্তি সুরা ফাতিহায় কয়বার হয়েছে তা খুঁজব। ‘রা’=৮, ‘আইন’= ৬ এবং ‘দাল’= ৪ বার। এদের যোগফল, ৮+৬+৪=১৮। আবার, অন্যদিকে ‘রাদ’ এর অক্ষরগুলির পুনরাবৃত্তি উপরের দুটি আয়াতে যে কয়বার হয়েছে তার যোগফল=৯+৯=১৮। এখানেও যোগফল সমান।