পালসার (Pulsar)

Pulsar

পালসার (Pulsar)

যখন অনেক বেশি ভরকে খুব ছোট জায়গায় ঘণীভূত করা হয় তখন সেখানে ব্ল্যালহোল বা কৃষ্ণগহবর সৃষ্টি হয়। এইটি মোটর দানা পরিমান জায়গায় যদি কোটি কোটি সুর্যের সমপরিমাণ ভর ঘণীভূত করে রাখা হয় তাহলে সেখানে কৃষ্ণগহবর সৃষ্টি হবে। এত বেশি ভরের কারণে কৃষ্ণগহবরের মধ্যাকর্ষন শক্তি এত প্রবল হয় যে সেখানে থেকে আলোও বেরিয়ে আসতে পারেনা। কৃষ্ণগহবর আলোকেও টেনে তার নিজের ভিতর ঢুকিয়ে ফেলে। এতো হলো কৃষ্ণগহবরের কথা। এবার আসুন পালসার সম্পর্কে জানি।

পালসার হল সর্বদা ঘুর্নায়মান একটি নিউট্রন নক্ষত্র। সম্প্রতি যে সব নিউট্রন নক্ষত্র আবিষ্কার হয়েছে তাদের বেশিরভাগই হল রেডিও পালসার। তাদেরকে রেডিও পালসার বলা হয় কারণ তারা সবসময় রেডিও তরঙ্গ সৃষ্টি করে চলেছে। আমরা যদি একটি রেডিও-টেলিস্কোপ যন্ত্রকে একটি সাউন্ডবক্স বা শব্দ বাড়ানো যায় এমন যন্ত্রের সাথে লাগাই, তাহলেই আমরা পালসার নক্ষত্রের সৃষ্টি করা শব্দ শুনতে পারব। পালসারের শব্দ এমন, যেন কেউ দরজায় একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর কড়া নাড়ার শব্দ করছে। সুতরাং বলা যায়, আমরা পালসার নক্ষত্র থেকে দরজায় কড়া নাড়ার মত শব্দ শুনতে পাই। কোরআনে (৮৬:১-৩) এ ধরনের নক্ষত্রের কড়া নাড়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

١  وَالسَّمَاءِ وَالطَّارِقِ٢  وَمَا أَدْرَاكَ مَا الطَّارِقُ٣  النَّجْمُ الثَّاقِبُ

অর্থঃ শপথ আসমানের, শপথ রাতের বেলায় আত্মপ্রকাশকারী (তারকা)র। তুমি জান সে আত্মপ্রকাশকারী কি? তা হচ্ছে একটি উজ্জ্বল তারকা।

And the heaven and the “Knocker”. How could you know about the “Knocker”? The piercing star.

উপরের আয়াতে ‘তারিক’ অর্থ হল আত্মপ্রকাশকারী নক্ষত্র। এর অন্য একটি অর্থ হল ‘যে দরজায় কড়া নাড়ে’। সত্যিই অবাক হবার বিষয়। ‘তারিক’ শব্দের অর্থের সাথে পালসার নক্ষত্রের তৈরিকৃত শব্দের মিল পাওয়া যায়। আর ‘ছাকিব’ অর্থ হল যে গর্ত সৃষ্টি করে বা বিদীর্ন করে বা ফাটল ধরায়।

পালসার হল সর্বদা ঘুর্নায়মান একটি নিউট্রন নক্ষত্র। এই নক্ষত্রের ভর যত বাড়ে, তত তার আকর্ষন করার শক্তিও বাড়ে। আর মধ্যাকর্ষন শক্তিই হল সময়ের বক্রতা। একটি নিউট্রন নক্ষত্র সময়কে পরিবর্তন করতে পারে। নিউট্রন নক্ষত্রের ভর যত বাড়ে, নিউট্রন নক্ষত্রটি দ্বারা পরিবর্তিত সময়ের পরিমাণও বেশি হয়। এভাবে ভর বাড়তে থাকলে এমন একটি অবস্থা আসে, যখন পরিবর্তিত সময়ের পরিমান এত বেশি হয় যে, সময়ের মাঝে একটি ফাটল বা গর্ত সৃষ্টি হয়। আর উপরের আয়াতে উল্লিখিত ‘ছাকিব’ অর্থ হল যে গর্ত সৃষ্টি করে বা বিদীর্ন করে বা ফাটল ধরায়।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে জানলেন পালসার নক্ষত্রগুলো দরজায় কড়া নাড়ার মত শব্দ সৃষ্টি করতে পারে এবং সময়ের মধ্যে ফাটল বা গর্ত তৈরী করতে পারে? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *