নেতৃত্ব(Leadership)
মানুষ দুইভাবে বিখ্যাত হতে পারে। ভাল কাজের মাধ্যমে সমাজের, দেশের এবং পৃথিবীর কল্যাণে অবদান রেখে বিখ্যাত হতে পারে। আবার, অন্যদিকে অন্যায়ভাবে অর্থ উপার্জন বা ক্ষমতার অপব্যবহার করেও অনেকে বিখ্যাত হয়। তবে আমরা তাদের কুখ্যাত বলি। ভাল মানুষের নেতা হতে হলে অনেকগুলো গুণ থাকতে হয়। যেমন- আল্লাহর প্রতি ভয় থাকা, আসনের দায়িত্ব পালনের সঠিক জ্ঞান থাকা, সততা, দক্ষতা, দেশপ্রেম, দুরদর্শিতা, শৃঙ্খলা মেনে চলা, সঠিক ব্যক্তিকে সঠিক কাজে লাগানোর যোগ্যতা, উপরের পদবীর কর্মকর্তার নির্দেশ মেনে চলা ও নিচের পদবীর কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান, কেন্দ্রমুখী ও বিকেন্দ্রিক প্রশাসন ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা থাকা, ব্যক্তি স্বার্থকে দূরে রেখে প্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়ার যোগ্যতা, সফল ব্যক্তিকে সঠিক পারিশ্রমিক দেয়া, অর্থনৈতিক জ্ঞান থাকা, সকলের জন্য সুবিচার নিশ্চিত করা, দলীয়ভাবে কাজ করার যোগ্যতা, শ্রমের মর্যাদা দেয়া এবং অলস সময়কে উপভোগ করার যোগ্যতা, জবাবদিহিতা থাকা ইত্যাদি। সুতরাং, আমাদের উচিত সৎ পথে নেতৃত্ব নেয়ার চেষ্টা করা। বিখ্যাত হওয়ার জন্য অন্যায় পথ বেছে নিলে তা ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে। কোরআনে এ বিষয়ে (২৫:৭৪) উল্লেখ করা হয়েছে।
وَالَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا (74)
অর্থঃ… উপরন্তু তুমি আমাদের পরহেযগার লোকদের ইমাম বানিয়ে দাও।
(And those who pray to Lord) give us the leadership of righteous people.
হযরত মোহাম্মদ (সঃ) আমাদের নেতা। তাঁর মধ্যে আল্লাহ তায়ালা সকল গুণের সমাহার দিয়েছিলেন। যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি ঐ আমলে নেতৃত্ব বিকাশের উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।