নিয়োগ (Recruitment)

Recruitment

নিয়োগ (Recruitment)

লোক নিয়োগ সঠিক না হলে কোন প্রতিষ্ঠানের  উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন এবং কাঙ্খিত উৎপাদন অর্জন সম্ভব হয়না। কোরআনে এ বিষয়ে নিন্মের (২৬:২৮) আয়াতটি পাওয়া যায়।

قَالَتْ إِحْدَاهُمَا يَا أَبَتِ اسْتَأْجِرْهُ إِنَّ خَيْرَ مَنِ اسْتَأْجَرْتَ الْقَوِيُّ الْأَمِينُ (26)

অর্থঃ সে দুজন (রমনীর) একজন তার (পিতাকে) বলল, হে (আমার) পিতা, একে বরং তুমি (তোমার) কাজে নিয়োগ কর, কেননা মজুর হিসেবে সে (ব্যক্তিই) উত্তম (বলে প্রমাণিত) হবে যে হবে (শারীরিক দিক থেকে) শক্তিশালী এবং (চরিত্রের দিক থেকে) উত্তম।

One of the women said, o my father, heir him. Indeed, the best one can heir is the strong and the trustworthy.

অনুন্নত দেশগুলিতে লোক নিয়োগে স্বচ্ছতার অনেক অভাব থাকে। এ ধরণের দেশ গুলোতে ঘুষ প্রদানে লোক নিয়োগ, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে লোক নিয়োগ, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, আত্মীয়তা ও আঞ্চলিকতার বলয়ে লোক নিয়োগের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। ফলে সমাজে বিশৃংখলা দেখা দেয়। অনুপযুক্ত লোকবল দায়িত্বপুর্ণ ও গুরুত্বপুর্ন আসনগুলো দখল করে ফেলে। ফলে উপরের ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি ও বিস্তৃতি ঘটতে থাকে। শারীরিক শ্রম ভিত্তিক কাজের জন্য লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ শারীরিক গঠন এবং উত্তম চরিত্রকে প্রাধান্য দেয়া উচিত। বলিষ্ঠ শারীরিক গঠন বিশিষ্ট মানুষ থেকে বেশি উৎপাদন যেমন আশা করা যায়। আর অন্যদিকে উত্তম চরিত্র বিশিষ্ট মানুষ নিজে যেমন দুর্নীতি থেকে বেচে থাকে তেমনি প্রতিষ্ঠানকেও দুর্নীতি থেকে বাঁচায়। গবেষনায় দেখা গেছে, যে প্রতিষ্ঠান শারীরিক গঠন, বিশ্বস্ততা ও চারিত্রিক গঠন পর্যালোচনা করে জনবল নিয়োগ দেয় তাদের উৎপাদন বেশি হয় এবং ঐ সকল প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতিও কম হয়। আর এ জন্য জনবল নিয়োগের আগে ঐ ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে কিনা তা পরীক্ষা করে নেয়া উচিত। কারণ, সুস্বাস্থ্য ও উত্তম চরিত্র যেন-তেন মানুষ থেকে আশা করা যায় না আর এ জন্যই সালাত বা নামাযকে গুরুত্ব দেয়া উচিত। আধুনিক কর্পোরেট অফিসগুলোতেও এখন জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে শারীরিক গঠন, বিশ্বস্ততা ও চারিত্রিক গঠন পর্যালোচনা করে তারপর জনবল নিয়োগ দেয়া হয়। এবং সেই অনুযায়ী এইচ-আর ম্যানেজমেন্ট পরিচালিত হয়।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি একজন জনবল নিয়োগের বিশারদ ছিলেন যিনি লোক নিয়োগের উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *