নক্ষেত্রের আলো (Starlight)
একটি নক্ষত্রের সাধারণত তিন ভাবে মৃত্যু হতে পারে।
- নক্ষেত্রের জ্বালানি শেষ হয়ে গিয়ে তা ঠাণ্ডা বা নিস্প্রভ হয়ে গেলে।
- সুপারনোভা (তারাদের নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়া শেষ হলে এক ধরণের বিস্ফোরণ হয় যা তারাকে ভেঙ্গে চুর্ণ বিচূর্ণ করে ফেলে) বিস্ফোরণে কারনে নক্ষত্র ধ্বংস হয়ে নিউট্রন স্টার তৈরী হলে।
- অনেক বেশি ভর হলে মধ্যাকর্ষন শক্তি এত বেশি প্রখর হয় যা আলোকে পর্যন্ত টেনে তার ভিতরে নিয়ে যায়। ফলে ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহবর তৈরী হয়। এই ব্ল্যাকহোল নক্ষত্র খেয়ে ফেলে।
কিন্তু নক্ষত্রের মৃত্যু যেভাবেই হোক না কেন, তা খালি চোখে দেখা যায়না। দেখতে হলে আধুনিক যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়। অথচ, আজ থেকে প্রায় ১৪৫০ বছর আগেই কোরআনে (৭৭:৮) নক্ষত্রের ঠাণ্ডা বা নিস্প্রভ হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
٨ فَإِذَا النُّجُومُ طُمِسَتْ
অর্থঃ যখন আকাশের তারাগুলোকে জোতিহীন করে দেয়া হবে।
If the stars dimmed.
উপরের আয়াতে ‘তুমিসাত’ শব্দের অর্থ হল আলো নিভে যাওয়া বা জোতিহীন হয়ে যাওয়া। আধুনিক বিজ্ঞানের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, নক্ষত্রের আলো নিভে যেতে পারে বা এই কারণে জোতিহীন হয়ে যেতে পারে।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে জানলেন ওই আমলে, কোন আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়াই যে, নক্ষত্রের আলো নিভে যেতে পারে বা জোতিহীন হয়ে যেতে পারে।? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।