দায়িত্ব প্রদান (Bigger Role)
অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সাধারণত পরিবার, অঞ্চল, আত্মীয়তা, রাজনৈতিক দল ইত্যাদির ভিত্তিতে গুরুত্বপুর্ন পদগুলোর দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ফলে যোগ্য আসনে যোগ্য ব্যক্তি বসে না। অযোগ্য লোকেদের হাতে শাসনভার চলে যায়। ক্ষমতালোভী ব্যক্তিরা যে কোন ভাবেই হোক না কেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে। কিন্তু কোরআন অনুযায়ী কাউকে দায়িত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয়। ইসলাম কখনই অতিরিক্ত আত্মপ্রচারের অনুমতি দেয়না। আত্মপ্রচারের মাধ্যমে নিজেকে জাহির করা ব্যক্তি সাধারণত ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে থাকে। এ ধরনের মানুষ থেকে সামষ্টিক কল্যাণ আশা করা যায়না। ইসলামে দায়িত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলি দেখা হয় তার মধ্যে অন্যতম হল যোগ্যতা, মনের দৃঢ়তা, আগ্রহ থাকা। নিন্মের (১২:৫৫) আয়াতে বিষয়গুলোর প্রকাশ পায়।
قَالَ اجْعَلْنِي عَلَى خَزَائِنِ الْأَرْضِ إِنِّي حَفِيظٌ عَلِيمٌ (55)
অর্থঃ সে (বাদশাহকে) বলল, (যদি তুমি আমাকে বিশ্বস্ত মনে কর তাহলে) রাজ্যের এ (বিশৃঙ্খল খাদ্য) ভাণ্ডারের উপর আমাকে নিযুক্ত কর, আমি অবশ্যই একজন বিশ্বস্ত রক্ষক ও (অর্থ পরিচালনায়) অভিজ্ঞ বটে।
Yousuf said, Appoint me over treasury of the land. Indeed, I will be knowing Gurdian.
আমরা ইউসুফ নবী সম্পর্কে জানি, তিনি একজন যোগ্য ব্যক্তি ছিলেন। তিনি স্বপ্নের ব্যাখ্যা করতে পারতেন, যা সাধারণ মানুষ পারতনা। তিনি দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন কিন্তু এতে তার আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস এবং মনের দৃঢ়তা একটুও কমেনি। আর অর্থ পরিচালনায় আর অভিজ্ঞতা থাকায় তিনি দায়িত্ব নিতে আগ্রহীও ছিলেন। অর্থ্যাৎ বড় পদের দায়িত্ব গ্রহণের সকল গুণই তার মধ্যে ছিল। আর এভাবেই আগ্রহী ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেয়া উচিত।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি নেতৃত্বের উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।