তর্ক করা (Argue)

Fight

তর্ক করা (Argue)

কথায় বলে, খালি কলসী বাজে বেশি ভরা কলসী বাজেনা। জ্ঞানী ব্যক্তিরা সবসময় কথা কম বলে। আর যখন বলে তখন গুরুত্বপুর্ন কথাই বলে। তাদের কণ্ঠ সাধারণত নিচু হয়। তারা গালিগালাজ করেন না। সবসময় মানুষের কল্যাণের জন্য ভাল কথা বলে। যেখানে একজন জ্ঞানী ব্যক্তি একশ বা হাজারটি বিষয় মাথায় রেখে সমাধান দেয়ার চেষ্টা করে সেখানে একজন মুর্খ ব্যক্তি মাত্র দশটি বিষয় মাথায় রেখে সমাধান দেয়ার চেষ্টা করে। চলাফেরার সময়ও তারা নম্রভাবে ও ধীরে চলে এবং কোন কাজে তাড়াহুড়ো করে না। ফলে জ্ঞানী ব্যক্তির দেয়া সিদ্ধান্ত মুর্খ ব্যক্তির পছন্দ হয়না কারণ সে শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আর এ জন্যই মুর্খরা সাধারণত বেশি কথা বলে এবং তর্ক করতে পছন্দ করে। হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর যুগে পেশী শক্তি প্রাধান্য পেত। তখন ঢাল তলোয়ারের মাধ্যমে যুদ্ধ হত। কিন্তু এখনকার যুগ হল বুদ্ধি শক্তির যুগ। জ্ঞানে বিজ্ঞানে, সমরাস্ত্র, প্রযুক্তি এবং ব্যবসায় যে জাতি যত বেশি উন্নত, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সে জাতির গুরুত্ব তত বেশি। জ্ঞানী ব্যক্তির অল্প কথাও গুরুত্বপুর্ন কিন্তু মুর্খ লোকের বেশি কথাও অপ্রোয়জনীয় কারণ সে কথোপকথন তর্ক ও ঝগড়ার দিকে নিয়ে যাবে। কোরআনে এই বিষয়ে একটি (২৫:৬৩) আয়াত আছে।

وَعِبَادُ الرَّحْمَنِ الَّذِينَ يَمْشُونَ عَلَى الْأَرْضِ هَوْنًا وَإِذَا خَاطَبَهُمُ الْجَاهِلُونَ قَالُوا سَلَامًا (63)

অর্থঃ দয়াময় (আল্লাহ তায়ালার) বান্দাতো হচ্ছে তারা, যারা যমীনে নেহায়াত বিনম্রভাবে চলাফেরা করে এবং যখন জাহেল ব্যক্তিরা (অশালীন ভাষায়) তাদের সম্বোধন করে, তখন তারা নেহায়াত প্রশান্তভাবে জবাব দেয়।

And the servants of Most Merciful are those who walk upon earth with ease and when ignore argue with them harshly, they say peace (and walk away gracefully).

উপরের আয়াতে আল্লাহ তায়ালা জ্ঞানী ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন আর প্রকৃত জ্ঞানী প্রতিটি ব্যক্তিই আল্লাহর বান্দা।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি ঐ আমলে জ্ঞানী ব্যক্তিদের আচরণের উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

 

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *