কাইজেন (Kaizen)
যে কোন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য ‘কাইজেন’ একটি আন্তর্জাতিক ধারণা। ‘কাইজন’ এর সহজ অর্থ হল প্রতিনিয়ত উন্নয়ন এবং সংশোধন। ‘কাইজেন’ এর সাথে নতুনত্বের সম্পর্ক আছে। প্রতিটি বড় বড় প্রতিষ্ঠানেই ‘কাইজেন’ ধারনাটি বাস্তবায়ন করার জন্য একটি টিম থাকে। এই টিমের কাজ হল প্রতিষ্ঠানের এবং তার জনসম্পদের দুর্বলদিক গুলো খুঁজে বের করে তা সংশোধনের ব্যবস্থা করা এবং বিচারবিশ্লেষণ ও গবেষনার মাধ্যমে নতুনত্ব innovation কে প্রতিষ্ঠা করা। কাইজেনের সাথে কেন্দ্রিক বা বিকেন্দ্রিক প্রসাশন ব্যবস্থার সম্পর্ক আছে।
‘কাইজেন’ এর কাজ হল ভুল বের করা এবং সংশোধন করা। আর এই ভুল বের করা এবং সংশোধন করার জন্য পুরুষ ও নারী উভয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে পরিস্থিতিকে বিবেচনা করা জরুরী। কোন প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন ব্যবস্থা এককেন্দ্রিক হলে, সকাল ভুল বা সমস্যা এক ব্যক্তির নিকটেই যায় এবং ঐ ব্যক্তি একাই তার সমাধান দেয়। ফলে একক ব্যক্তির উপর বেশি চাপ পরে এবং যে কোন সিদ্ধান্ত পেতে সময় বেশি লাগে। ফলে প্রধান ব্যক্তির তোষামদকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে সকল সমস্যার সমাধান একসুত্রে দেয়ার চেষ্টা বৃদ্ধি পায়। কোন প্রতিষ্ঠানে যোগ্য লোক কম হলে এককেন্দ্রিক ব্যবস্থাপনা সুফল বয়ে আনে। কিন্তু বড় বড় প্রতিষ্ঠানে এককেন্দ্রিক ব্যবস্থাপনার সুফল দীর্ঘস্থায়ী হয়না।
কিন্তু অন্যদিকে, বিকেন্দ্রিক ব্যবস্থাপনা কার্যকরী ভুমিকা রাখতে পারে যদি কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি গুরুত্বপুর্ন আসনে যোগ্যব্যক্তি থাকে। বিকেন্দ্রিক ব্যবস্থাপনায় ‘কাইজেন’ বেশি কার্যকর। এই বিকেন্দ্রিক ব্যবস্থায় ছোট সমস্যার সমাধানের জন্য প্রধান ব্যক্তির নিকট যেতে হয়না। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত দ্রুত পাওয়া যায়। কোরআনে ‘কাইজেন’ সম্পর্কিত একটি (৭:৩৫) আয়াত আছে।
يَا بَنِي آَدَمَ إِمَّا يَأْتِيَنَّكُمْ رُسُلٌ مِنْكُمْ يَقُصُّونَ عَلَيْكُمْ آَيَاتِي فَمَنِ اتَّقَى وَأَصْلَحَ فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ (35)
অর্থঃ এবং যারা নিজেদের সংশোধন করে নেবে, তাদের কোনই ভয় থাকবে না, তারা কখনও দুশ্চিন্তাগ্রস্থও হবেনা।
And whoever reforms, there will be no fear concerning them, nor they will grieve.
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কিভাবে ঐ আমলে সংশোধনের ধারণা দিয়েছেলেন যা ‘কাইজেন’ ধারনার সাথে মিলে যায়? তিনি কি ‘কাইজেন’ এর উপর গবেষনা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।