আদম (আঃ) এবং ঈসা (আঃ)

Adam and Jesus

আদম (আঃ) এবং ঈসা (আঃ)

আমরা জানি, আদম (আঃ) এবং ঈসা (আঃ) দুইজনের জন্মই আল্লাহর হুকুমে অলৌকিকভাবে হয়েছে। আদম (আঃ) এর কোন পিতা ছিলনা। আবার, ঈসা (আঃ) এরও কোন পিতা ছিলনা। কোরআনে দুজনের নামই পচিশবার করে উল্লেখ করা হয়েছে।

  1. কোরআনের শুরু থেকে গুণে আসলে ৭ তম বার ‘আদম’ শব্দটি (০৩:৫৯) নং আয়াতে পাওয়া যাবে। আবার, অনুরূপভাবে, ঈসা নামটি খুঁজতে গেলেও তা (০৩:৫৯) নং আয়াতে পাওয়া যাবে। আর কেবলমাত্র এই আয়াতটিতেই দুই নবীর নাম একত্রে এসেছে। বাকী আয়াতগুলোতে তাদের নাম আলাদা আলাদা ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
  2. কেবলমাত্র একটি আয়াতে আদম (আঃ) এবং ঈসা (আঃ) এর নাম একত্রে এসেছে। সেই (০৩:৫৯) আয়াতটি নিন্মরুপঃ

إِنَّ مَثَلَ عِيسَى عِنْدَ اللَّهِ كَمَثَلِ آَدَمَ خَلَقَهُ مِنْ تُرَابٍ ثُمَّ قَالَ لَهُ كُنْ فَيَكُونُ (59)

  1. উপরের আয়াতে লক্ষ্য করলে দেখবেন ‘আদম’ শব্দটি ম শব্দ। আর আগেই দেখেছি ৭ একটি বিশেষ সংখ্যা। ‘ঈসা’ নামটিতে আরবি ৪ টি অক্ষর আবার ‘আদম’ নামটিতে আছে আরবি ৩ টি অক্ষর। এদের যোগফল, ৪+৩=
  2. আবার লক্ষ্য করুন, কোরআনে ‘আদম’ শব্দটি এসেছে ২৫ টি আয়াতে এবং ‘ঈসা’ শব্দটি এসেছে ২৫ টি আয়াতে। আবার, একটি আয়াতে দুইটি নামই একই সঙ্গে এসেছে। সুতরাং, আদম এবং ঈসা বিষয়ে মোট আয়াত আছে, ২৫+২৫-১ =৪৯ টি (যেহেতু একটি কমন)। আর ৪৯ এর বর্গমুল হল । ঘুরে ফিরে আবার সেই
  3. এবার উপরের আরবী আয়াতটির আয়াত নম্বরের দিকে লক্ষ্য করুন। আয়াতটি ৫৯ তম। ৫৯ হল ১৭ তম মৌলিক সংখ্যা এবং ১৭ হল ম মৌলিক সংখ্যা। ঘুরে ফিরে আবার
  4. সুরা বাকারায় উল্লিখিত (২:৩১) এবং (২:৮৭) দুইটি আয়াতের যোগফল হল, ৩১+৮৭ = ১১৮ = ৫৯X২ আকারে প্রকাশ করা যায়। এখন প্রশ্ন হল ৫৯ এবং ২ এর অর্থ কি? মনে করুন সেই আয়াতটি যাতে আদম (আঃ) এবং ঈসা (আঃ) এর নাম একত্রে এসেছে, সেই আয়াতটিও ৫৯ তম। আর ২ দিয়ে দুই নবীকে বুঝানো হয়েছে।

এভাবে আরও অনেক গানিতিক সম্পর্ক আছে তবে সহজগুলোই উল্লেখ করলাম। যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি একজন গনিতবিদ ছিলেন, যিনি ওহী বর্ননার সময় এত সতর্ক ছিলেন যে, আদম ও ঈসা নবীর নামের মধ্যে অপুর্ব গানিতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছেন, অথচ ইতিহাস বলে তিনি পড়তেও জানতেন না এবং লিখতেও জানতেন না? আর আমরা জানি কোরআনের আয়াতগুলো একসাথে নাযিল হয়নি। যেখানে একজন শিক্ষিত মানুষের পক্ষেই এরকম সূরা তৈরী সম্ভব নয় সেখানে আজ থেকে প্রায় ১৪০০ বছর আগে রাসুল (সঃ) কিভাবে এই কোরআনের সূরা রচনা করবেন অথচ তিনি লিখতেও জানতেন না এবং পড়তেও জানতেন না? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *