১৯ ভিত্তিক গণনা পদ্ধতি (Base-19)

Nineteen

১৯ ভিত্তিক গণনা পদ্ধতি (Base-19):

চলুন প্রথমেই কোরআনে উল্লিখিত আয়াতগুলো (২৬:১-৪) লক্ষ্য করি।

١  طسم٢  تِلْكَ آيَاتُ الْكِتَابِ الْمُبِينِ٣  لَعَلَّكَ بَاخِعٌ نَفْسَكَ أَلَّا يَكُونُوا مُؤْمِنِينَ٤  إِنْ نَشَأْ نُنَزِّلْ عَلَيْهِمْ مِنَ السَّمَاءِ آيَةً فَظَلَّتْ أَعْنَاقُهُمْ لَهَا خَاضِعِينَ

অর্থঃ ত্বা সিন মিম। এগুলো হচ্ছে সুস্পষ্ট গ্রন্থের কতিপয় আয়াত। (হে নবী) কেন তারা ঈমান আনছেনা (সে দুঃখে) মনে হচ্ছে তুমি তোমার জীবনটাই ধ্বংস করে দেবে। (অথচ) আমি চাইলে এদের উপর আসমান থেকে (এমন) একটি নিদর্শন নাজিল করতে পারি (যা দেখে) তাদের গর্দান তার দিকে ঝুঁকে পড়বে।

TaSeenMeem, these are verses of the clarifying book. Maybe you are frustrated that they don’t believe. If We wish We can send down from heaven a sign their necks remain for it subdued.

উপরের আয়াতে ত্বা সিন মিম– বলার পরপরই বলা হয়েছে, এগুলো হচ্ছে সুস্পষ্ট গ্রন্থের কতিপয় আয়াত। অর্থ্যাৎ, ত্বা সিন মিম কোরআনকে সুস্পষ্ট করেছে। কিন্তু কিভাবে? আসুন পড়তে থাকি।

গণনা করার অনেকগুলো পদ্ধতি আছে। এর মধ্যে দ্বিমিক ও দশমিক পদ্ধতি বেশি পরিচিত। দ্বিমিক পদ্ধতি ব্যবহৃত হয় কম্পিউটারে আর দশমিক পদ্ধতি ব্যবহৃত হয় আমাদের দৈনন্দিন কেনাবেচায়।

দ্বিমিক পদ্ধতিতে অংক শুধু ২ টি। ০ এবং ১।

আর দশমিক পদ্ধতিতে অংক আছে ১০ টি। ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯।

এরকমভাবে ১৯ ভিত্তিক গণনা পদ্ধতিও আছে যেখানে অংক আছে ১৯ টি। এরা নিন্মরুপ, ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯, A(১০), B(১১), C(১২), D(১৩), E(১৪), F(১৫), G(১৬), H(১৭), I(১৮)

কোরআনের বিভিন্ন সুরার শুরুতে কিছু বিচ্ছিন্ন অক্ষর পাওয়া যায়। বিচ্ছিন্ন এজন্যই বলছি কারণ এর সঠিক অর্থ জানা যায়না। যেমন- সুরা বাকারার আগে আছে আলিফ, লাম, মিম। এভাবে কোরআনের সবগুলো সুরার প্রথমের এ ধরনের অক্ষরগুলো একত্রিত করলে মোট ১৪ টি অক্ষর পাওয়া যায়। যার মধ্যে তোয়া ব্যবহৃত হয়েছে ৪ বার, সিন ব্যবহৃত হয়েছে ৫ এবং মিম ব্যবহৃত হয়েছে ১৭ বার। নিন্মে কোন অক্ষর কতবার ব্যবহৃত হয়েছে তার চার্ট দেয়া হল।

দশমিক গণনা পদ্ধতিতে এখানে, তোয়া ব্যবহৃত হয়েছে ৪ বার, সিন ব্যবহৃত হয়েছে ৫ এবং মিম ব্যবহৃত হয়েছে ১৭ বার। আর ১৯ ভিত্তিক গণনা পদ্ধতিতে সংখ্যাটি দাঁড়াবে H54 = মিম-সিন-তোয়া

নিন্মে তোয়া, সিন এবং মিম কতবার এসেছে তা উল্লেখ করা হল।

আমরা ১৯ ভিত্তিক গণনা পদ্ধতিতে পাওয়া H54 = মিম-সিন-তোয়া সংখ্যাটিকে দশমিক গণনা পদ্ধতিতে রূপান্তর করলে পাই ৬২৩৬। আবার, কোরআনের মোট আয়াত সংখ্যাও হল ৬২৩৬। সত্যিই অবাক হবার মত হিসাব।

(১৭ X ১৯ X ১৯) + (৫ X ১৯) + (৪ X ১)

= ৬১৩৭ + ৯৫ + ৪

= ৬২৩৬

= কোরআনের মোট আয়াত সংখ্যা।

অর্থ্যাৎ, কোরআনের মধ্যে ১৯ ভিত্তিক গণনা পদ্ধতি বিদ্যমান আছে এবং এখানে ১৯ এর গানিতিক ছন্দ বা হিসাব আছে, যা দ্বারা বলা যায়, কোরআন গনিতের মাধ্যমে সুরক্ষিত এবং এত কোন ভেজাল বা গানিতিক ভুল নেই। কোরআনে কেউ একটি আয়াত নিজের মত ঢুকালে বা কেটে দিলে এই হিসাব মিলবে না।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে ১৯ ভিত্তিক গণনা পদ্ধতি জানলেন? ঐ আমলে সবাই দশমিক পদ্ধতির গণনা জানত কিন্তু ১৯ ভিত্তিক গণনা পদ্ধতি কারও জানা ছিলনা এবং তখন কম্পিউটারও ছিলনা যা দিয়ে বড় বড় হিসাব করা যেত। তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *