পাহাড় (Mountain)
পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বত হল হিমালয়। আর হিমালয়ের সবচেয়ে উঁচু স্থানের নাম এভারেস্ট। এভারেস্টের উচ্চতা প্রায় ৮.৮ কিলোমিটার কিন্তু মাটির নিচেই এর বেশিরভাগ অংশ। মাটির নিচে পাহাড়ের শিকড় প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। কোরআনে পাহাড়কে পেরেকের সাথে তুলনা করা হয়েছে। পেরেক যখন দেয়ালে বা কাঠে গাড়া হয় তখন তার বেশিরভাগ অংশই থাকে দেয়ালে বা কাঠের ভিতরে আর অল্প অংশ থাকে বাইরে। পাহাড়ের ক্ষেত্রেও ঠিক একই রকম। পাহাড়ের অল্প অংশই ভুমির উপরে থাকে আর বেশিরভাগ অংশই থাকে মাটির নিচে। এ বিষয়ে কোরআনে (৭৮:০৭) উল্লেখ করা হয়েছে।
وَالْجِبَالَ أَوْتَادًا (7)
অর্থঃ (ভুমিকে স্থির রাখার জন্য) আমি কি পাহাড় সমুহকে (এর গায়ে) পেরেকের মত গেড়ে রাখিনি?
And the mountains as pegs.
এ বিষয়ে কোরআনে (৭৯:৩২)আরও উল্লেখ করা হয়েছে।
وَالْجِبَالَ أَرْسَاهَا (32)
অর্থঃ তিনি পাহাড় সমূহ জমীনের গায়ে পেরেকের মত গেড়ে দিয়েছেন।
And the mountains He anchored.
উপরের আয়তে ‘আরসাহা’ শব্দের অর্থ হল নোঙ্গর। সাগরের তীরে জাহাজ যেন ভেসে চলে না যায় সে জন্য নোঙ্গর ফেলা হয়। জাহাজ যেমন পানির উপর ভাসে এবং জাহাজ যেন দূরে চলে না যায় সে জন্য নোঙ্গর মাটিতে গেড়ে দেয়া হয়, ঠিক তেমনি, পৃথিবীর উপরিভাগের ভূত্বকও গলিত আগুনের লাভার উপর ভাসছে আর পাহাড়গুলোকে আল্লাহ গেড়ে দিয়েছেন যেন পৃথিবীর উপরিভাগের ভূত্বকের প্লেটগুলো একটি আর একটি থেকে দূরে সরে না যায়। আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে অনেকসময় ভুমিকম্পের সৃষ্টি হয় এবং সে ভূমিকম্পে পৃথিবীর উপরিভাগের ভূত্বকের প্লেটগুলোর মধ্যে ধাক্কা লাগে। পাহাড়গুলো তখন পেরেকের মত কাজ করে। অন্য একটি আয়াতে (৬৫:১২) এ বিষয়ে বলা হয়েছে।
اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَوَاتٍ وَمِنَ الْأَرْضِ مِثْلَهُنَّ يَتَنَزَّلُ الْأَمْرُ بَيْنَهُنَّ لِتَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا (12)
অর্থঃ আল্লাহ যিনি এ সাত আসমান এবং তার অনুরুপ সংখ্যক জমিন সৃষ্টি করেছেন, আবার উভয়ের মাঝখানে (যা কিছু আছে তাদের জন্য) তার নির্দেশ জারি হয়,যাতে করে তোমরা এ কথা অনুধাবন করতে পারো, (আকাশ পাতালের) সকল কিছুর উপর তিনিই (একক) ক্ষমতাবান এবং তার জ্ঞান (এ সৃষ্টিলোকের) প্রতিটি বস্তুকে পরিবেষ্টন করে রয়েছে।