হিম শীতল বাতাস (Frost)
হিম শীতল বাতাসের কারণে গাছপালা মারা যেতে পারে। ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রীর কাছাকাছি বা তার নিচে নেমে গেলে এমনটি ঘটে। আমরা জানি পানি বরফ হয়ে গেলে আয়তনে বাড়ে। গাছের কোষের ভেতরের পানি যখন বরফ হয়ে আয়তনে বেড়ে যায়, তখন সেই চাপে কোষের দেয়াল বা কোষপ্রাচীর ভেঙে যায়। এবং গাছপালা মারা যায়। কিন্তু মরুভুমিতে এমন ঠাণ্ডা পরেনা। এমন ঠাণ্ডা সাধারণত শীত প্রধান দেশে হয়। অথচ কোরআনে (৩:১১৭) এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
١١٧ مَثَلُ مَا يُنْفِقُونَ فِي هَٰذِهِ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا كَمَثَلِ رِيحٍ فِيهَا صِرٌّ أَصَابَتْ حَرْثَ قَوْمٍ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ فَأَهْلَكَتْهُ ۚ وَمَا ظَلَمَهُمُ اللَّهُ وَلَٰكِنْ أَنْفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ
অর্থঃ এ ধরণের লোকেরা এ দুনিয়ার জীবনে যা খরচ করে, তার উদাহরন হচ্ছে, যারা নিজেদের উপর অবিচার করেছে সেই দলের শষ্যক্ষেত্রের উপর দিয়ে প্রবাহমান হীমশীতল (তীব্র) বাতাসের মত, যা তাদের (শস্যক্ষেত) বরবাদ করে দিয়ে গেল; (মুলতঃ) আল্লাহ তায়ালা তাদের উপর কোনই আবিচার করেননি; বরং (কুফরির পন্থা অবলম্বন করে) এরা নিজেরাই নিজেদের উপর জুলুম করেছে।
The parable of what they spend in this worldly life is that of a frosty wind that strikes the harvest of a people who have wronged their souls, and destroys it. Allah did not wrong them, but they wronged their own selves.
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে মুরুভুমির দেশে থেকেও শীতপ্রধান দেশে ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে গাছপালা মরে যাবার কারণ জানলেন? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।