সৌর ঝড়ে হলুদ সৌর রশ্মি (Solar Flare)
পৃথিবীর উপরে তাপমাত্রা কম হলেও পৃথিবীর ভিতরে আছে প্রচণ্ড উত্তপ্ত লাভা। আগ্নেয়গীরির অগ্নুৎপাতের ফলে সেই লাভা বিক্ষিপ্ত হয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। সুর্যেও অনেকটা একই রকম ঘটনা ঘটে। সুর্যেরও বাইরের থেকে ভেতরে তাপমাত্রা বেশি। এবং প্রায়ই সুর্যের ভেতরে বিস্ফোরনের ফলে সুর্যের ভেতরের অংশ বাইরে বেরিয়ে আসতে চায় এবং সৌর পৃষ্ঠে সৌর ঝড় সৃষ্টি হয়। সৌর ঝড়ের সময় বিস্ফোরনের কারণে, সুর্যের বিস্ফোরিত অংশ থেকে স্বাভাবিক অবস্থার তুলনাও বেশি পরিমানে হলদে রশ্মি বিকিরণ করে। খালি চোখে এই বিস্ফোরন দেখা যায়না। কিন্তু কোরআনে (৭৭:৩০-৩৩) এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে প্রায় ১৪৫০ বছর আগে।
٣٣ كَأَنَّهُ جِمَالَتٌ صُفْرٌ٣٢ إِنَّهَا تَرْمِي بِشَرَرٍ كَالْقَصْرِ٣١ لَا ظَلِيلٍ وَلَا يُغْنِي مِنَ اللَّهَبِ٣٠ انْطَلِقُوا إِلَىٰ ظِلٍّ ذِي ثَلَاثِ شُعَبٍ
অর্থঃ চলো সেই ধুম্রপুঞ্জের ছায়ার দিকে, যার রয়েছে তিনটি (ভয়ংকর) শাখা প্রশাখা। এ ছায়া কিন্তু সুনিবিড় কিছু নয়, এটা তাকে আগুনের লেলিহান শিখা থেকে বাঁচাতেও পারবেনা; বরং তা বৃহৎ প্রাসাদতুল্য আগুনের স্ফুলিঙ্গ নিক্ষেপ করতে থাকবে, মনে হবে তা যেন হলুদ বর্ণের কতিপয় উটের পাল;
Proceed to a shadow of three branches. No shade, and no protection from the flames. It throws sparks like castles. As if they were yellow camels.
উটের কুজ থাকে। উপরের আয়াতে আগুনের স্ফুলিঙ্গকে হলুদ বর্ণের কতিপয় উটের পালের সাথে তুলনা করা হয়েছে। মরুভুমিতে উটেরা স্বাভাবিক অবস্থায় পাকস্থলীর খাবার থেকে শক্তি নিয়ে চলে। কিন্তু চলতে চলতে মরুভুমিতে উটগুলো যখন প্রচন্ড দুর্বল ও তৃষ্ণার্ত হয়ে যায় এবং আর সামনে এগিয়ে যেতে পারেনা, তখন তারা কুজে জমে থাকা চর্বি থেকেই এগিয়ে চলার শক্তি গ্রহণ করে। অনেকটা সূর্যের সৌর ঝড়ের মত। স্বাভাবিক অবস্থায় সুর্য স্বাভাবিক নিয়মে জ্বলতে থাকে কিন্তু যখন সৌড় ঝড় হয়, তখন সুর্যের ঐ বিস্ফোরিত অংশ থেকে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি পরিমানে হলদে রশ্মি বিকিরিণ হয়। আর এখন আমরা আধুনিক বিজ্ঞানের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, সৌর ঝড়ের সময় বিস্ফোরনের কারণে, সুর্যের বিস্ফোরিত অংশে বিভিন্ন আকৃতির বলয় তৈরী হয় এবং তা থেকে স্বাভাবিক অবস্থার তুলনায় বেশি পরিমানে হলুদ রশ্মি বিকিরণ হয়, যেমনটি উটের কুজ থেকে বিপদের সময় শক্তি নিঃসৃত হয়। খালি চোখে এই বিস্ফোরন দেখা যায়না। কোরআনের উদাহরণ সম্পুর্ন সঠিক।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে সঠিক উদাহরণ দিলেন অর্থ্যাৎ আগুনের স্ফুলিঙ্গকে হলুদ বর্ণের কতিপয় উটের পালের সাথে তুলনা করলেন? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।