সাগরের গভীরতায় দৃশ্যমান অঞ্চল এবং অন্ধকার (Photic Zone and darkness)

photic zone

সাগরের গভীরতায় দৃশ্যমান অঞ্চল এবং অন্ধকার (Photic Zone and darkness)

সাগরের উপরে যেমন ঢেউ থাকে, তেমনি সাগরের নিচেও ঢেউ থাকে। সাগরে ডুব দিলে আমরা সবকিছু দেখতে পাই। কিন্তু যতই আমরা সাগরের নিচের দিকে যেতে থাকি ততই আলোর পরিমান কমতে থাকে। এভাবে যেতে যতে প্রায় ২০০ মিটার পর্যন্ত মানুষ দেখতে পায়। কিন্তু আরও নিচে গেলে তখন আর দেখা যায়না। কারণ, সাগরের গভীরতা যত বাড়ে, আলো তত সাগরের নিচের দিকে কম ঢুকতে পারে। তবে সাগরের গভীরের আন্ধকারেও মাছ থাকে। তারা সেখানে দেখতে পায় ঠিকই কিন্তু মানুষ সেখানে কিছুই দেখতে পায়না। সেখানে এত গভীর অন্ধকার যে, কেউ যদি নিজের হাতের দিকে তাকায়, তাহলে নিজের হাত ও দেখা যাবেনা। সাগরের নিচে যে অন্ধকার তা আমরা এখন আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে জানতে পারছি এবং এসব যন্ত্র সাগরের নিচে পানির প্রচণ্ড চাপ সহ্য করতে পারে কিন্তু মানুষ সে চাপ সহ্য করতে পারবেনা। অথচ প্রায় ১৪৫০ বছর আগেই এ বিষয়ে কোরআনে (২৪:৪০) উল্লেখ করা হয়েছে।

أَوْ كَظُلُمَاتٍ فِي بَحْرٍ لُجِّيٍّ يَغْشَاهُ مَوْجٌ مِنْ فَوْقِهِ مَوْجٌ مِنْ فَوْقِهِ سَحَابٌ ظُلُمَاتٌ بَعْضُهَا فَوْقَ بَعْضٍ إِذَا أَخْرَجَ يَدَهُ لَمْ يَكَدْ يَرَاهَا وَمَنْ لَمْ يَجْعَلِ اللَّهُ لَهُ نُورًا فَمَا لَهُ مِنْ نُورٍ (40)

অর্থঃ কিংবা (তাদের কর্মকান্ডের উদাহনর হচ্ছে) অতল সমুদ্রের অভ্যন্তরস্থ গভীর আন্ধকারের মত, অতঃপর তাকে একটি বিশাল আকারের ঢেউ এসে ঢেকে (আরও অন্ধকার করে দিল), তার উপর আরও একটি ঢেউ (এলো), তার উপর (ছেয়ে গেল কিছু) ঘন কালো মেঘ, এক অন্ধকারের উপর (এলো) আরেক অন্ধকার, যদি কেউ (এ অবস্থায়)তার হাত বের করে, (আঁধারের কারণে) তার তা দেখার কোন সম্ভাবনা থাকবেনা; বস্তুতঃ, আল্লাহ যার জন্য কোন আলো বানাননি, তার জন্যতো (কোথাও থেকে) আলো থাকবেনা।

Or like the depths of darkness in a vast deep ocean, overwhelmed with waves topped by waves, topped by clouds: depths of darkness, one above another: if a man stretches out his hand, he will not see it! If Allah does not give light to a person he will not have light!

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে জানলেন সাগরের নিচে গভীর অন্ধকার? তিনি কি ঐ আমলে সাগরের নিচে গিয়েছিলেন এবং এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *