সভ্যতার বিলুপ্তি (Mass Extinction)

Mass Extinction

সভ্যতার বিলুপ্তি (Mass Extinction)

পৃথিবীতে মানব সভ্যতার অনেক আগে ডাইনোসরদের যুগ ছিল। বিভিন্ন জায়গায় এখনও তাদের ফসিল পাওয়া যায়। ডাইনোসররা কিভাবে মারা গেছে তা নিয়ে অনেক মতভেদ আছে। তবে সর্বজন স্বীকৃত মতবাদটি হল এই যে, গ্রহানুপুঞ্জের আঘাতেই ডাইনোসর জাতির বিলুপ্তি হয়েছিল। এক বিশাল গ্রহাণুপুঞ্জ পৃথিবীকে আঘাত করেছিল। ফলে বাতাসে প্রচণ্ড ধোয়া ও ধুলোবালির সৃষ্টি হয়। আকাশ কালো মেঘে ও ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। ফলে সুর্যের আলো দীর্ঘদিন পৃথিবীতে পৌছাতে পারেনি। ফলে তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। তার উপর আবার এসিড রেইন বা এসিড বৃষ্টি হয়। ফলে সমস্ত গাছপালা ও জীবজন্তু মারা যায়। কোরআনে (২৪:৪৩) এ বিষয়ে পরোক্ষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

٤٣  أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يُزْجِي سَحَابًا ثُمَّ يُؤَلِّفُ بَيْنَهُ ثُمَّ يَجْعَلُهُ رُكَامًا فَتَرَى الْوَدْقَ يَخْرُجُ مِنْ خِلَالِهِ وَيُنَزِّلُ مِنَ السَّمَاءِ مِنْ جِبَالٍ فِيهَا مِنْ بَرَدٍ فَيُصِيبُ بِهِ مَنْ يَشَاءُ وَيَصْرِفُهُ عَنْ مَنْ يَشَاءُ ۖ يَكَادُ سَنَا بَرْقِهِ يَذْهَبُ بِالْأَبْصَارِ

অর্থঃ তুমি কি দেখ না আল্লাহ তায়ালাই এই মেঘমালা সঞ্চলিত করেন, অতপর তিনি তাকে তার টুকরোগুলোর সাথে জুড়ে দেন, তারপর তাকে স্তরে স্তরে সাজিয়ে পুঞ্জীভূত করে রাখেন, অতপর একসময় তুমি মেঘের ভেতর থেকে বৃষ্টির ফোটাসমুহ বেরিয়ে আসতে দেখবে, (আরো দেখবে) আসমানের শিলাস্তর থেকে তিনি শিলা বর্ষন করেন এবং যার উপর চান তার উপর তা বর্ষন করেন, (আবার) যাকে চান তাকে তিনি তার (আঘাত) থেকে অব্যহতিও দেন, মেঘের বিদ্যুৎ ঝলক (চোখে ধাঁধা লাগিয়ে দেয়), মনে হয় তা বুঝি দৃষ্টি (শক্তিকে এক্ষনি) নিস্প্রভ করে দিয়ে যাবে;

Can’t you see that Allah makes the clouds move gently, then joins them together, then makes them into a pile? Then you see rain come out from within? And He sends down from heaven mountains with ice inside them; that strike whomever He wishes or miss whoever He wishes; Its flash almost blinds you.

যে গ্রহানুপুঞ্জটি ডাইনোসরের যুগে পৃথিবীতে আঘাত এনেছিল তা আকারে একটি পর্বতের সমান হবে। প্রায় ১০-১৫ কিলোমিটার। এখনও যদি এমন আকৃতির একটি গ্রহানুপুঞ্জটি পৃথিবীতে আঘাত হানে তাহলে আমাদের মানব জাতিরও বিলুপ্তি ঘটতে পারে।

অন্য একটি সুরায় (৪৪:৯-১০) এরকম ভয়াবহ একটি পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

١٠  فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ١١  يَغْشَى النَّاسَ ۖ هَٰذَا عَذَابٌ أَلِيمٌ

অর্থঃ অতএব (হে নবী), তুমি সেদিনের অপেক্ষা করো যেদিন আকাশ (তার) স্পষ্ট ধোয়া (নিচের) দিকে ছেড়ে দিবে। তা (অল্প সময়ের মধ্যে গোটা) মানুষদের গ্রাস করে ফেলবে, এটা হবে এক কঠিন শাস্তি।

So watch out for the day when the sky brings prevailing smoke. Enveloping mankind; this is a painful torture.

উপরের আয়াতে আকাশের কালো ধোয়া এবং তার ফলে কঠিন শাস্তি আমাদের ডাইনোসরদের যুগের কথা মনে করিয়ে দেয়। গ্রহাণুপুঞ্জের কারণে সেদিন আকাশ কালো মেঘে ঢেকে গিয়েছিল এবং এসিড রেইন বা এসিড বৃষ্টি হয়েছিল এবং এই এসিড বৃষ্টির কারণে সব গাছপালা ও জীবজন্তু মারা গিয়েছিল।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে জানলেন আকাশে গ্রহাণুপুঞ্জ বা শিলা আছে এবং শিলার আঘাতে আকাশে ধোয়া সৃষ্টি হতে পারে? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *