শয্যাক্ষত (Bedshores)

Bedshores

শয্যাক্ষত (Bedshores)

একই অবস্থায় দীর্ঘক্ষন দাড়িয়ে, বসে বা শুয়ে থাকলে শরীরের কিছু নির্দিষ্ট স্থানে বেশি চাপ পরে। যেমন দাড়িয়ে থাকলে পায়ের গোড়ালিতে এবং বসে থাকলে কোমড়ে ব্যথা হয়। এই ব্যথা শরীরের বাইরেও হতে পারে আবার শরীরের ভিতরেও হতে পারে। কনুই, হাঁটু, গোড়ালি, কাধের পেছনে এবং মাথার পেছনে ইত্যাদি স্থানে শয্যাক্ষত বা বেডসোরের কারনে ব্যাথা সৃষ্টি হয়। এ অসুখ প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে সহজেই ভাল হয়ে যায়। কিন্তু, গুরুতর অসুস্থ, দুর্বল বৃদ্ধ, হুইল চেয়ার ব্যবহারকারী ইত্যাদি ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই অসুখ সহজে ভাল হয়না। চিকিৎসকেরা প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে রোগীদের পার্শ পরিবর্তনের উপদেশ দেন। অর্থ্যাৎ, ডান পাশ হিসেবে শুয়ে থাকলে, বা পাশ হয়ে শুতে বলেন। আর বা পাশ হয়ে শুয়ে থাকলে ডান পাশ হয়ে শুতে বলেন। একই স্থানে যেন চাপ না পরে সেদিকে রোগীকে লক্ষ্য রাখতে হয়। এই চাপের কারনেই ঘুমন্ত অবস্থায় আমরা এপাশ ওপাশ করি। এই চিকিৎসা গত শতকে আবিষ্কৃত হলেও কোরআনে (১৮:১৮) এবিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে ১৪৫০ বছর আগে।

١٨  وَتَحْسَبُهُمْ أَيْقَاظًا وَهُمْ رُقُودٌ ۚ وَنُقَلِّبُهُمْ ذَاتَ الْيَمِينِ وَذَاتَ الشِّمَالِ ۖ وَكَلْبُهُمْ بَاسِطٌ ذِرَاعَيْهِ بِالْوَصِيدِ ۚ لَوِ اطَّلَعْتَ عَلَيْهِمْ لَوَلَّيْتَ مِنْهُمْ فِرَارًا وَلَمُلِئْتَ مِنْهُمْ رُعْبًا

অর্থঃ (হে নবী, তুমি যদি দেখতে তাহলে) তুমি তাদের ভাবতে, তারা বুঝি জেগেই রয়েছে, অথচ তারা কিন্তু ঘুমন্ত, আমি তাদের (কখনও) ডানে (কখনও) বামে পরিবর্তন করে দিতাম, তাদের কুকুরটি গুহার সামনে তার হাত দুটি প্রসারিত করে (পাহারারত অবস্থায় বসে) ছিল, তুমি যদি তাদের দিকে সত্যিই উঁকি মেরে দেখতে, তাহলে তুমি অবশ্যই তাদের কাছ থেকে পেছন ফিরে পালিয়ে যেতে এবং তাদের (এ আজব দৃশ্য) দেখে তুমি নিঃসন্দেহে ভয়ে (তাদের থেকে) আতংকিত হয়ে যেতে।

You would think them awake, although they were asleep. And We (Allah is one and only) turned them over to the right, and to the left, with their dog stretching its paws across the threshold. Had you looked at them, you would have turned away from them in flight, and been filled with fear of them.

উপরের আয়াতে কখনও ডান পাশ আবার কখনও বাম পাশ পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। এখন আমরা জানি, শয্যাক্ষত বা বেডসোরের থেকে বাচার জন্যই এমনটি করতে হয়।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ঐ যুগে কিভাবে জানলেন যে, শয্যাক্ষত বা বেডসোরের থেকে বাচার জন্যই কখনও ডান পাশ আবার কখনও বাম পাশ পরিবর্তন করতে হয়? তিনি কি এ বিষয়ে গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *