মৌমাছি (Honey Bees)

Honey-bee

মৌমাছি (Honey Bees):

কোরাআনে ‘নাহল’ নামে একটি সুরা আছে। ‘নাহল’ অর্থ মৌমাছি। সুরাটি ১৬ নম্বর সুরা। এই ১৬ সংখ্যার সাথে মৌমাছির ঘনিষ্ট সম্পর্ক আছে। যে একটিমাত্র আয়াতে মৌমাছির কথা উল্লেখ আছে ঐ আয়াতটিতে ১৬ টি শব্দ আছে। এবং ঐ শব্দগুলো তৈরী করতে ১৬ টি ভিন্ন ভিন্ন অক্ষর ব্যবহৃত হয়েছে। কোরআনের (১৬ঃ৬৮) নং আয়াতটি নিন্মরুপ,

وَأَوْحَى رَبُّكَ إِلَى النَّحْلِ أَنِ اتَّخِذِي مِنَ الْجِبَالِ بُيُوتًا وَمِنَ الشَّجَرِ وَمِمَّا يَعْرِشُونَ (68)

অর্থঃ তোমার মালিক মৌমাছিকে এ নির্দেশ দিয়েছেন, পাহাড়ের (গায়ে) গাছে (র ডালে) এবং অন্য কিছুর উপর যা তোমরা বানাও তার উপর নিজেদের থাকার ঘর নির্মাণ কর।

And your Lord inspired to the bee, “Take for yourself among the mountains, houses, and among the trees and [in] that which they construct.

নারী মৌমাছির ১৬ জোড়া ক্রোমসোম থাকে যেখানে পুরুষ মৌমাছির ক্রোমসোম থাকে শুধুমাত্র ১৬ টি। নারী মৌমাছিগুলো ডিম্বানু নিষিক্ত হওয়ার ফলেই সৃষ্টি হয়। কিন্তু পুরুষ মৌমাছিগুলো জন্ম নেয় অনিষিক্ত ডিম্বানু থেকে। অর্থ্যাৎ, পুরুষ মৌমাছিগুলোর জন্মের জন্য কোন পিতার দরকার হয়না।

নারী মৌমাছি বা কর্মী মৌমাছিরা বিভিন্ন জায়গায় যায় এবং পরাগরেনু সংগ্রহ করে এবং মধু বানায়। পুরুষ মৌমাছিগুলো মধু বানায়না। মধু যে কেবল নারী মৌমাছিরা বানায়, পুরুষ মৌমাছিরা নয় – এই তথ্যটি আজ থেকে প্রায় ১৪৫০ বছর আগেই পবিত্র কোরআনে (১৬:৬৯) উল্লেখ করা হয়েছে,

ثُمَّ كُلِي مِنْ كُلِّ الثَّمَرَاتِ فَاسْلُكِي سُبُلَ رَبِّكِ ذُلُلًا يَخْرُجُ مِنْ بُطُونِهَا شَرَابٌ مُخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيهِ شِفَاءٌ لِلنَّاسِ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآَيَةً لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ (69)

অর্থঃ তারপর প্রত্যেক ফল থেকে (রস আহরণ করে তা) খেতে থাক, অতপর তোমার মালিকের নির্ধারিত পথ ধরে পুর্ন আনুগত্যের সাথে এগিয়ে চল; এভাবে তার পেট থেকে রংবেরঙয়ের পানীয় দ্রব্য বের হয়, যার মধ্যে মানুষদের নিরাময়ের ব্যবস্থা রয়েছে, অবশ্য এতেও নিদর্শন রয়েছে সে সম্প্রদায়ের জন্যে, যারা (আল্লাহর এ সৃষ্টি বৈচিত্র নিয়ে) চিন্তা করে।

Then eat (for females) from every fruit and follow (for females) your Lord’s enslaved paths, from its bellies exits drink of different colors, in it healing for man. These are signs for those who contemplate.

উপরের আয়াতে খাওয়া এর আরবি হল কুলিযা নারী মৌমাছির জন্য ব্যবহৃত হয় কিন্তু পুরুষ মৌমাছি হলে ব্যবহৃত হত কুল

উপরের আয়াতে পথে এগিয়ে চলাবা পথ অনুসরন করাএর আরবি হল উসলুকিযা নারী মৌমাছির জন্য ব্যবহৃত হয় কিন্তু পুরুষ মৌমাছি হলে ব্যবহৃত হত উসলুক

উপরের আয়াতে পেট থেকে খাবার মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসাবা বমি করাএর আরবি হল বুতুনিহাযা নারী মৌমাছির জন্য ব্যবহৃত হয় কিন্তু পুরুষ মৌমাছি হলে ব্যবহৃত হত বুতুনিহিম

মৌমাছি শুধু পাহাড় বা গাছই নয়, বরং শক্ত মাটিতেও গর্ত করে তাদের থাকার জন্য আবাসস্থল তৈরি করতে পারে।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কিভাবে মৌমাছি সম্পর্কে ঐ আমলে এত কিছু জানলেন যা বিজ্ঞান মাত্র কয়েক বছর আগে আবিষ্কার করেছে?তিনি কি মৌমাছিদের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *