মেঘ ঠাণ্ডা বাতাসে বৃষ্টিতে পরিনত হয় (Cloud Seeding)

Cloud seeding

মেঘ ঠাণ্ডা বাতাসে বৃষ্টিতে পরিনত হয় (Cloud Seeding)

বাতাসের নানা রকম উপকারিতা আছে। এর মধ্যে অন্যতম হল পরাগায়ন ঘটানো। বাতাসের কারনে পরাগরেনু এক ফুল থেকে অন্য ফুলে যায়। এভাবে পরাগায়ন না হলে পৃথিবীর সকল গাছপালা মারা যেত। আধুনিক বিজ্ঞানের মাধ্যমে আমরা বাতাসের আরও একটি বিশেষ কাজ জানতে পেরেছি, যা আগের দিনের মানুষ জানতোনা। আর সেটি হল, বাতাসই বৃষ্টি ঘটায়। মেঘে থাকা জলীয় বাস্প বৃষ্টিতে পরিনত হয়না, যতক্ষণ না পর্যন্ত সেখানে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হয়।তখন তাপমাত্রা অনেক কমে যায় এবং তা বরফ গলনাংকের থেকেও নিচে নেমে আসে। এসময় কিছু প্রভাবক আছে যা মেঘের জলীয় বাস্পকে দ্রুত পানিতে পরিনত করে। সিলভার আয়োডাইড, বরফ হওয়া কার্বন ডাই অক্সাইড এবং লবন হল এই ধরনের প্রভাবক, যা জলীয় বাস্প থেকে পানি উৎপন্ন হবার এই বিক্রিয়াকে দ্রুততর করে। এভাবেই মেঘ ঠাণ্ডা বাতাসের প্রবাহের কারনে বৃষ্টিতে পরিনত হয়। এই প্রক্রিয়াকে ক্লাউড সিডিন বলে।

পরীক্ষাগারে সিলভার আয়োডাইড, বরফ হওয়া কার্বন ডাই অক্সাইড এবং লবন ব্যবহার করে জলীয় বাস্পকে দ্রুত পানিতে পরিনত করা যায়। কিন্তু প্রকৃতিতে মেঘের জলীয় বাস্পকে দ্রুত পানিতে পরিনত করতে সাগরের লবন এবং মাটি থেকে উৎক্ষিপ্ত ধুলাবালি প্রভাবক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সাগর থেকে বয়ে আসা বাতাস ধুলোবালি নিয়ে মেঘে জমা করে। ধুলোবালি এক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। আর এ কারনেই আকাশের মেঘগুলো একত্রিত হয় এবং তা পানিতে পরিনত হয়ে বৃষ্টি হিসেবে নেমে আসে। কোরআনে (১৫:২২) এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে,

٢٢  وَأَرْسَلْنَا الرِّيَاحَ لَوَاقِحَ فَأَنْزَلْنَا مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَسْقَيْنَاكُمُوهُ وَمَا أَنْتُمْ لَهُ بِخَازِنِينَ

অর্থঃ আমিই বৃষ্টিগর্ভ বায়ু প্রেরন করি, তারপর আমিই আকাশ থেকে পানি বর্ষন করি, অতপর আমিই তোমাদের তা পান করাই, তোমরা নিজেরা তো তার এমন কোন ভাণ্ডার জমা করে রাখনি (যে, সেখান থেকে এসব সরবরাহ আসছে)।

And We (Allah is one and only) sent the seeding winds, then cause the rain to descend from the sky, and gave you water to drink, though you are not the guardians of its stores.

আগের দিনের মানুষ ‘বৃষ্টিগর্ভ বায়ু এর অর্থ বুঝতনা। তারা ভাবত এই বায়ুর কাজ হল গাছপালার পরাগায়নে সাহায্য করা। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানের কারনে এখন আমরা জানতে পেরেছি যে, বায়ুর কাজ শুধু পরাগায়ন ঘটানো নয়। বরং, মেঘে থেকে বৃষ্টি নামানোর জন্যও ঠাণ্ডা বাতাসের প্রয়োজন হয়।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ঐ যুগে কিভাবে জানলেন যে, মেঘ থেকে বৃষ্টি হতে ঠাণ্ডা বাতাসের প্রয়োজন হয়? তিনি কি এ বিষয়ে গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *