প্রতিপ্রভা (fluorescence)
আমরা সব শব্দ যেমন শুনতে পাইনা তেমনি সব আলোও দেখতে পাইনা। গাছপালা একধরনের অদৃশ্য আলো বিকিরণ করে যা খালি চোখে দেখা যায়না। এই আলোকে প্রতিপ্রভা বা ফ্লোরিসেন্স বলে। কিন্তু ১৪৫০ বছর আগেই, এ বিষয়ে কোরাআনে (২৪:৩৫) উল্লেখ করা হয়েছে।
٣٥ اللَّهُ نُورُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ مَثَلُ نُورِهِ كَمِشْكَاةٍ فِيهَا مِصْبَاحٌ ۖ الْمِصْبَاحُ فِي زُجَاجَةٍ ۖ الزُّجَاجَةُ كَأَنَّهَا كَوْكَبٌ دُرِّيٌّ يُوقَدُ مِنْ شَجَرَةٍ مُبَارَكَةٍ زَيْتُونَةٍ لَا شَرْقِيَّةٍ وَلَا غَرْبِيَّةٍ يَكَادُ زَيْتُهَا يُضِيءُ وَلَوْ لَمْ تَمْسَسْهُ نَارٌ ۚ نُورٌ عَلَىٰ نُورٍ ۗ يَهْدِي اللَّهُ لِنُورِهِ مَنْ يَشَاءُ ۚ وَيَضْرِبُ اللَّهُ الْأَمْثَالَ لِلنَّاسِ ۗ وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
অর্থঃ আল্লাহ তায়ালাই হচ্ছেন আসমানসমূহ ও যমীনের নুর; তার এ নুরের উদাহরন হচ্ছে- তা যেমন একটি তাকের মতো, তাতে একটি প্রদীপ (রাখা) আছে, প্রদীপটি (আবার) স্থাপন করা হয়েছে (স্বচ্ছ একটি) কাচের আবরনের ভিতর; কাচের আবরণটি হচ্ছে উজ্জ্বল একটি তারার মত- তা প্রজ্জ্বলিত করা হয় পবিত্র যয়তুন গাছ (নিঃসৃত তেল) দ্বারা, যা (শুধু) পুর্ব দিকের (সুর্যের আলো থেকেই আলোকপ্রাপ্ত) নয়, পশ্চিম দিকের (সুর্যের আলোক প্রাপ্তও) নয়, (বরং এটি সবসময়ই প্রজ্জ্বলিত থাকে); আবার এর তেল এত পরিষ্কার, (দেখলে) মনে হয়, তা বুঝি নিজে নিজে জ্বলে উঠবে, যদি আগুন তাকে (ততোক্ষণে) স্পর্শও না করে থাকে; (আর যদি আগুন স্পর্শ করেই ফেলে তাহলে তা হবে) নুরের উপর আরো নুর; আল্লাহ তায়ালা তার এ নুরের দিকে যাকে চান তাকেই হেদায়েত করেন; আল্লাহ তায়ালা (এভাবে) মানুষদের (বোঝানোর) জন্যে নানা উপমা পেশ করে থাকেন; আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক বিষয় সম্পর্কেই সম্যক অবগত আছেন,
Allah is the Light of the heavens and the earth. The allegory of His light is that of a pillar on which is a lamp. The lamp is within a glass. The glass is like a brilliant planet, fueled by a blessed tree, an olive tree, neither eastern nor western. Its oil would almost lighten, even if no fire has touched it. Light upon Light. Allah guides to His light whomever He wills. Allah thus cites the parables for the people. Allah is cognizant of everything.
উপরের আয়াতে যয়তুন গাছের তেল বা জলপাইয়ের তেলের কথা বলা হয়েছে। প্রশ্ন হল এত গাছ থাকতে যয়তুন গাছের তেল বা জলপাইয়ের তেলের কথা বলা হল কেন?
বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর সব রকমের উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত তেলের উপর পরীক্ষা করে দেখেছেন যে, যয়তুন গাছের তেল বা জলপাইয়ের তেল থেকে তিন ধরনের (তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের উপর ভিত্তি করে) দীপনমাত্রার অদৃশ্য আলো বের হয়। এর মধ্যে একটি হল কম দীপন মাত্রার, একটি হল মধ্যম দীপন মাত্রার এবং আর একটি হল শক্তিশালী দীপন মাত্রার। মধ্যম দীপন মাত্রা যে যয়তুন গাছের তেল বা জলপাইয়ের তেল থেকে উৎপন্ন হয় তার তরঙ্গ দৈর্ঘ্য হল প্রায় ৬৮১ ন্যানোমিটার। ৬৮১ ন্যানোমিটারের তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের এই ধরনকে বলা হয় ক্লোরোফিল ব্যন্ড বলে।
উপরের গ্রাফ থেকে এটাই প্রমানিত হয় যে, সকল ভেষজ তেলের মধ্যে যয়তুন গাছের তেল বা জলপাইয়ের তেলের দীপন মাত্রা বা উজ্জলতা বা ইন্টেন্সিটি সবচেয়ে বেশি।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে জানলেন, যয়তুন গাছের তেল বা জলপাইয়ের তেলের দীপন মাত্রা বা উজ্জলতা বা ইন্টেন্সিটি সবচেয়ে বেশি? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।