পাথর ক্ষয় হওয়া এবং তারপর মসৃণ হওয়া (Rock erosion and smoothening)
দীর্ঘদিন ধরে কোন পাথরের উপর বৃষ্টির পানি পরতে থাকলে ঐ পাথরের উপরিভাগের সাথে পানির ঘর্ষণ হয়। আর এই ঘর্ষনের ফলে পাথরের অমসৃণ তল আস্তে আস্তে মসৃণ হতে থাকে। পাথরের উপর অনেক সময় বালি জমে থাকে। পানি ও বালু উভয়ের সাথে পাথরের ঘর্ষনের ফলে পাথর আরও চকচকে হয়ে উঠে। কিন্তু, এই প্রক্রিয়াটি খুবই ধীর গতির। বছরের পর বছর ধরে আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে এই ঘর্ষন প্রক্রিয়া ঘটতে থাকে এবং পাথর মসৃণ হতে থাকে। এ বিষয়ে কোরআনে (০২:২৬৪) উল্লেখ করা হয়েছে।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا لَا تُبْطِلُوا صَدَقَاتِكُمْ بِالْمَنِّ وَالْأَذَى كَالَّذِي يُنْفِقُ مَالَهُ رِئَاءَ النَّاسِ وَلَا يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآَخِرِ فَمَثَلُهُ كَمَثَلِ صَفْوَانٍ عَلَيْهِ تُرَابٌ فَأَصَابَهُ وَابِلٌ فَتَرَكَهُ صَلْدًا لَا يَقْدِرُونَ عَلَى شَيْءٍ مِمَّا كَسَبُوا وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْكَافِرِينَ (264)
অর্থঃ হে ঈমানদাররা, তোমরা উপকারের খোটা দিয়ে এবং অনুগ্রহকৃত ব্যক্তিকে কষ্ট দিয়ে তোমাদের দান সদকা বরবাদ করে দিওনা – ঠিক সেই ব্যক্তির মত, যে শুধু লোক দেখানোর উদ্দেশ্যেই দান করে, সে আল্লাহ এবং পরকালের উপর বিশ্বাস করেনা; তার দানের উদাহরণ হচ্ছে, যেন একটি মসৃণ শিলাখন্ডের উপর কিছু মাটির আস্তরণ, সেখানে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হল, অতপর পাথর শক্ত হয়েই পরে থাকল, দান খয়রাত করেও তারা মূলত এই অর্জনের উপর থেকে কিছুই করতে পারলনা, আর যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করেনা, আল্লাহ তাদের কখনও সঠিক পথ দেখান না।
O you who believe! Do not nullify your charitable deeds with reminders and hurtful words, like him who spends his wealth to be seen by the people, and does not believe in Allah and the Last Day. His likeness is that of a rock covered with sand, a downpour strikes it, and leaves it smooth. They gain nothing from their efforts. Allah does not guide the disbelieving people.
উপরের আয়াতে ‘সাফওয়ান’ অর্থ এক ধরণের পাথর আর ‘সালদান’ অর্থ মসৃণ। অর্থ্যাৎ, দীর্ঘদিন ধরে পানি ও বালির ঘর্ষনে একটি অমসৃণ পাথরও মসৃণ হয়ে যায়।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে জানলেন পানি ও বালির ঘর্ষনে পাথর মসৃণ এবং চকচকে হয়? তিনি কিএ বিষয়েরউপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।