
পাথরের ফাটল (Rocks Crack)
বেশিরভাগ পদার্থই যখন তরল থেকে কঠিনে পরিণত হয়ে তখন আয়তনে কমে কিন্তু পানি এর ব্যতিক্রম। পানি যখন তরল অবস্থা থেকে কঠিন বরফে পরিণত হয় তখন এর আয়তন কমে না, বরং বাড়ে। পানি থেকে বরফ হওয়ার সময় প্রায় ১০ শতাংশ আয়তন বেড়ে যায়। এমন অনেক পাথর থাকে যার ভিতরে পানি জমে থাকে। কিন্তু যখন প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় পাথরের ভিতরের পানি বরফ হয়ে যায়, তখন আয়তন বৃদ্ধির কারণে বরফ সেই পাথরের ভিতরের দেয়ালের গায়ে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে। সেই চাপ সহ্য করতে না পারলে পাথরটি ফেটে যায় বা তাতে ফাটল ধরে। এবং পরবর্তীতে তা থেকে পানি বেরিয়ে আসে।
আবার পাথর যদি বারবার পানিতে ভিজতে থাকে এবং একইসাথে বারবার রোদে শুকাতে তখন পাথরের দুর্বল জায়গায় ফাটল সৃষ্টি হয়। পানির কারণে যে পাথর ভেঙে যেতে পারে অথবা পাথরে ফাটল ধরতে পারে, সে বিষয়ে কোরআনে (০২:৭৪) উল্লেখ করা হয়েছে।
٧٤ ثُمَّ قَسَتْ قُلُوبُكُمْ مِنْ بَعْدِ ذَٰلِكَ فَهِيَ كَالْحِجَارَةِ أَوْ أَشَدُّ قَسْوَةً ۚ وَإِنَّ مِنَ الْحِجَارَةِ لَمَا يَتَفَجَّرُ مِنْهُ الْأَنْهَارُ ۚ وَإِنَّ مِنْهَا لَمَا يَشَّقَّقُ فَيَخْرُجُ مِنْهُ الْمَاءُ ۚ وَإِنَّ مِنْهَا لَمَا يَهْبِطُ مِنْ خَشْيَةِ اللَّهِ ۗ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ
অর্থঃ (কিন্তু এত বড় একটি নিদর্শন স্বত্বেও) অতপর তোমাদের মন কঠিন হয়ে গেল, (এমন কঠিন) যেন তা (শক্ত) পাথর, (বরং মাঝে মাঝে মনে হয়) পাথরের চেয়েও (বুঝি তা) বেশি কঠিন; (কেননা) কিছু পাথর এমন আছে যা থেকে (মাঝে মাঝে) ঝর্নাধারা নির্গত হয়, আবার কোন কোন সময় তা বিদীর্ন হয়ে ফেটেও যায় এবং তা থেকে পানিও বেরিয়ে আসে, (অবশ্য) এর মধ্য থেকে (এমন কিছু পাথর আছে) যা আল্লাহর ভয়ে ধ্বসে পড়ে; আল্লাহ তায়ালা তোমাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে মোটেও গাফেল নয়।
Then after that your hearts hardened like rocks, or even harder. For there are some rocks from which rivers gush out, and others that crack and water comes out from them, and others that descend in awe of Allah. Allah is not unaware of what you do.
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে জানলেন পানির কারণে পাথরে ফাটল ধরতে পারে? আধুনিক বিজ্ঞান থেকে আমরা জানতে পারি, শুধুমাত্র পানি বরফ হলেই আয়তনে বাড়ে কিন্তু অন্য বেশিরভাগ পদার্থের ক্ষেত্রেই আয়তন কমে। তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।