পম্পেই নগরী (Pompeii)
অবিশ্বাসীরা জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি বিশ্বাস করতে চায়না। কোরআনে বলা হয়েছে আল্লাহ জাহান্নাম বাসীদের এমন শাস্তি দিবেন যে তারা স্থির হয়ে থাকবে। সামনেও যেতে পারবেনা আবার পিছনেও যেতে পারবেনা। তারা প্রশ্ন করে এটা আবার কিভাবে সম্ভব? নৃতত্ত্ব বিজ্ঞানীরা ইতালীতে এমন একটি শহর খুঁজে পেয়েছে যার উপর একসময় আগ্নেয়গীরির অগ্নুৎপাত হয়েছিল। আগ্নুৎপাতের ফলে যে কালো ধোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল তা খুব দ্রুততার সাথে ঐ শহরের উপর ছড়িয়ে পরে এবং ঐ এলাকার মানুষদের আক্রান্ত করে। ঐ কালো ধোয়ায় থাকা উত্তপ্ত গ্যাস, ছাই, ময়লা ও আবর্জনা মৃত পরে থাকা মানুষের উপর এক ধরণের ময়লার স্তর তৈরী করেছিল যে, পরবর্তীতে তা জমে পাথরের মত শক্ত হয়ে যায়। আর এই জমে থাকা লাশের ধরণ বা অবয়ব দেখে সহজেই বোঝা যায়, মৃত্যুর মুহুর্তে মানুষটি কি করছিল। কেউ বসে ছিল আবার কেউবা উপর হয়ে শুয়ে ছিল। পৃথিবীর সামান্য অগ্নুৎপাতের ময়লাই যদি মানুষের সর্বশেষ কর্মের দৃশ্য বা অবয়ব অবিকৃত অবস্থায় রেখে দিতে পারে, তাহলে জাহান্নামেও আল্লাহ মানুষকে স্থির করে দিতে পারেন। আর সেই স্থির হবে এমন স্থির যে সে সামনেও যেতে পারবেনা আবার পিছনেও যেতে পারবেনা। কোরআনেও (৩৬:৬৭) এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে,
٦٧ وَلَوْ نَشَاءُ لَمَسَخْنَاهُمْ عَلَىٰ مَكَانَتِهِمْ فَمَا اسْتَطَاعُوا مُضِيًّا وَلَا يَرْجِعُونَ
অর্থঃ (তাছাড়া) যদি আমি চাইতাম তাহলে (কুফরীর কারণে) তাদের নিজ নিজ জায়গায়ই তাদের আকৃতি বিনষ্ট করে দিতে পারতাম, সে অবস্থায় এরা সামনের দিকেও যেতে পারতনা, আবার পিছনেও ফিরে আসতে পারতনা!
And if We (Allah is one and only) will, We(Allah is one and only) can freeze them in their place; so they can neither move forward, nor go back.
উপরের আয়াতে সামনের দিকেও যেতে পারতনা, আবার পিছনেও ফিরে আসতে পারতনা অর্থ্যাৎ স্থির হয়ে থাকবে।
শাস্তির অনেক রকম ধরণ আছে। জেল, ফাসি, ক্রুসবিদ্ধ, শিরচ্ছেদ ইত্যাদি। যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে ঐ আমলে ধারণা করেছিলেন যে মানুষের নড়াচড়া স্থির করেও মানুষকে শাস্তি দেওয়া সম্ভব? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।