উল্কা (Meteorites)

ulka

উল্কা (Meteorites)

আজ থকে প্রায় ১৪৫০ বছর আগে মানুষরা ভাবত, আকাশের অনেক উচু থেকেই কোন বস্তু যদি মাটিতে পরে তাহলে তা কখনও পুড়বেনা। বরং, যেমন ছিল তেমনই থাকবে যদি তা মাটিতে পড়ার আগে ধরে ফেলা যায়। মহাকাশ থেকে প্রতিনিয়তই বহু উল্কা ঘণ্টায় হাজার হাজার মাইল বেগে ছুটে আসছে পৃথিবীর দিকে। পৃথিবীর উপর একটি বায়ুমণ্ডলীয় স্তর আছে।

কোন উল্কা যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলীয় স্তরের ভিতরে ঢুকে পড়ে তখন উল্কার সাথে বাতাসের ঘর্ষনের ফলে তাপ উৎপন্ন হয়। ঐ তাপে উল্কা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। কিন্তু ঐ ছাই গুলোকেই মেঘের মত দেখায়। এই বিষয়ে বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি জানতে পেরেছে কিন্তু এই বিষয়ে কোরআনে (৫২:৪৪) প্রায় ১৪৫০ বছর আগে উল্লেখ করা হয়েছে।

وَإِنْ يَرَوْا كِسْفًا مِنَ السَّمَاءِ سَاقِطًا يَقُولُوا سَحَابٌ مَرْكُومٌ (44)

অর্থঃ যদি কখনও এরা দেখতে পায়, আকাশের এক টুকরো ভেঙে পড়ছে, তাহলে (তাকে এরা আল্লাহর কোন নিদর্শন মনে না করে) বলবে, এতো হচ্ছে পুঞ্জীভূত একখণ্ড মেঘ মাত্র!

Even if they were to see lumps of the sky falling down, they would say, “A mass of clouds.”

উপরের আয়াতে দেখা যায়, অবিশ্বাসীরা বলে,‘এতো হচ্ছে পুঞ্জীভূত একখণ্ড মেঘ মাত্র’। কারণ তাদের কাছে মনে হবে এক খণ্ড মেঘ কিন্তু আসলে তা হচ্ছে উল্কা পুড়ে যাওয়া ছাই, যা দেখতে মেঘের মতই মনে হয়।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কিভাবে একজন নিরক্ষর ব্যক্তি হয়েও জানলেন যে উল্কাপাতের ফলে উল্কা পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং সেই ছাই দেখতে মেঘের মতই মনে হয়? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *