হাড়(Bones)
সন্তান মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় শরীরে আগে হাড় সৃষ্টি হয় তারপর গোশত বা মাংস সৃষ্টি হয়। যে কঙ্কাল সৃষ্টি হয় তার মধ্যে মেরুদণ্ডই সবার আগে তৈরী হয়। আর সে মেরুদণ্ড হয় তরুণাস্থির বা নরম হাড়ের। তরুণাস্থি বা নরম হাড়গুলো ধীরে ধীরে শক্ত হাড়ে রূপান্তরিত হয়। ভ্রূণের যে কয়টি তরুণাস্থি থাকে সেগুলোর মধ্যে চোয়ালের তরুণাস্থিই সবার আগের হাড়ে রূপান্তরিত হয়। এই তরুণাস্থির সাথে সংশ্লিষ্ট গোশত সৃষ্টি হবার তিন দিন আগে এই তরুণাস্থি শক্ত হাড়ে পরিনত হয়। সাধারণত একচল্লিশ তম দিনে চোয়ালের শক্ত হাড় তৈরী হয়। তার তিন দিন পরে তৈরী হয় ঐ হাড় সংশ্লিষ্ট গোশত। আমরা বর্তমানে আধুনিক বিজ্ঞানের মাধ্যমে এসব জানতে পেরেছি কিন্তু আজ থেকে প্রায় ১৪৫০ বছর আগেই কোরআনে এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে,
١٤ ثُمَّ خَلَقْنَا النُّطْفَةَ عَلَقَةً فَخَلَقْنَا الْعَلَقَةَ مُضْغَةً فَخَلَقْنَا الْمُضْغَةَ عِظَامًا فَكَسَوْنَا الْعِظَامَ لَحْمًا ثُمَّ أَنْشَأْنَاهُ خَلْقًا آخَرَ ۚ فَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ
অর্থঃ এরপর এ শুক্র বিন্দুকে আমি একফোঁটা জমাট রক্তে পরিনত করি, অতপর এ জমাট রক্তকে মাংসপিণ্ডে পরিনত করি, (কিছুদিন পর) এ পিণ্ডকে অস্থি পাঁজেরে পরিনত করি, তারপর (এক সময়) এ অস্থি পাঁজরকে আমি গোশ্তের পোশাক পরিয়ে দেই, অতপর (বানানোর প্রক্রিয়া শেষ করে) আমি তাকে সম্পুর্ন ভিন্ন এক সৃষ্টি (তথা পুর্নাংগ মানুষ)-রুপে পয়দা করি; আল্লাহ তায়ালা কত উত্তম সৃষ্টিকর্তা (কত নিপুন তার সৃষ্টি);
Then We (Allah is one and only) developed the semen into a leech. Then We (Allah is one and only) developed the leech into a lump. Then We (Allah is one and only) developed the lump into bones. Then We (Allah is one and only) clothed the bones with flesh. Then We (Allah is one and only) produced it into another creature. Most Blessed is Allah, the Best of Creators.