সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া (Photosynthesis)

Photosynthesis

সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া (Photosynthesis)

সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গাছপালা খাবার তৈরী করে। গাছপালা মূলের মাধ্যমে মাটি থেকে যে পরিমান পানি গ্রহন করে, তার প্রায় ৯৮ ভাগই গাছের পাতা দিয়ে বাষ্প হয়ে বাতাসে মিলিয়ে যায়। বাকী দুই ভাগ পানি দিয়ে গাছের পাতায় শর্করা উৎপন্ন হয়। যা গাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এভাবেই গাছপালা আকারে বৃদ্ধি পায়।

সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া বা ফটোসিনথেসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গাছপালা সুর্যের আলোকে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে, যা গাছের দৈনন্দিন কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে চালিকা শক্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গাছের পাতায় পানি ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড ঢুকে। আর সুর্যের আলোয় বিক্রিয়ার মাধ্যমে এগুলো থেকেই গাছের পাতায় তৈরী হয় অক্সিজেন এবং শর্করা। মাটি থেকে গ্রহন করা পানির বেশির ভাগই গাছের পাতা দিয়ে বাষ্প হয়ে বাতাসে চলে যায়। আর বাকী সামান্য পানিটুকু দিয়ে গাছের পাতায় শর্করা উৎপন্ন হয় যা গাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কোরআনে (১৮:৪৫) এই বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

٤٥  وَاضْرِبْ لَهُمْ مَثَلَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا كَمَاءٍ أَنْزَلْنَاهُ مِنَ السَّمَاءِ فَاخْتَلَطَ بِهِ نَبَاتُ الْأَرْضِ فَأَصْبَحَ هَشِيمًا تَذْرُوهُ الرِّيَاحُ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ مُقْتَدِرًا

অর্থঃ (হে নবী) তুমি এদের কাছে দুনিয়ার জীবনের উদাহরণ পেশ কর, (এ জীবনটা হচ্ছে) পানির মত আমি তাকে আকাশ থেকে বর্ষন করি, যার কারণে যমীনের উদ্ভিদ ঘন (সুশোভিত) হয়ে উঠে, অতঃপর এক সময় বাতাস তা উড়িয়ে নিয়ে ফিরে; মূলত আল্লাহ তায়ালা সবকিছুর উপর প্রচণ্ড ক্ষমতাবান।

And cite for them the parable of the present life: it is like water that We (Allah is one and only) send down from the sky; the plants of the earth absorb it; but then it becomes old plant, scattered by the wind. Allah has absolute power over everything.

উপরের আয়াতে ‘হাসিম’ অর্থ বৃদ্ধ গাছপালা। গাছের নানা রকম অসুখ হয়। গাছের পাতা হলুদ হলে বোঝা যায় গাছের অসুখ হয়েছে। গাছের পাতা হলুদ বা বৃদ্ধ হলে পাতা সহজেই ঝরে পড়ে। পানির অভাবে যেমন পাতা হলুদ হয় তেমনি বাতাসের কারনেও গাছের অসুখ হতে পারে। বাতাস শুষ্ক হলে গাছের পাতা থেকে পানি বাষ্পীভবনের হার বেড়ে যায়। ফলে গাছের পাতা শুকিয়ে যায় এবং গাছ শুকিয়ে যায়। বাতাসের কারনেও যে গাছ মরে যেতে পারে তা কোরআনে উপরের আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে জানলেন শুধু পানির কারণে নয় বরং বাতাসের কারনেও গাছের অসুখ হতে পারে? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

 

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *