শব্দ তরঙ্গ (Sound Wave)
শব্দ এক ধরনের তরঙ্গ। আমরা সব ধরেনর শব্দ শুনতে পারিনা। খুব আস্তে হলেও শুনিনা আবার খুব জোরে হলেও শুনিনা। মাইকের মাধ্যমে আস্তে হওয়া শব্দকে বাড়িয়ে উচ্চ মাত্রার শব্দে রূপান্তরিত করা যায়। সুর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর চলার পথে কয়েক ধরনের তরঙ্গ উৎপন্ন হয়। একটি হল মধ্যাকর্ষন জনিত তরঙ্গ এবং অন্যটি হচ্ছে তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ। কিন্তু কোরআন অনুযায়ী পৃথিবী সহ সকল গ্রহ নক্ষত্র কথা বলতে পারে। গ্রহ নক্ষত্ররা কথা বলতে পারার অর্থ আমাদের মত কথা বলা কিন্তু নয়। বরং তারা মহাকাশে এমন এক ধরনের শব্দ হয় যা খুব আস্তে হয়। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা সেই আস্তে হওয়া শব্দকে বড় করে মানুষের শ্রবন সীমার মধ্যে নিয়ে আসে, ফলে আমরা তা শুনতে পাই। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা মহাকাশে এমন এক ধরনের তরঙ্গ খুঁজে পেয়েছেন যা তাপ জনিত তরঙ্গও নয়, মধ্যাকর্ষন জনিত তরঙ্গও নয়, আবার তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গও নয়। বরং সেটি হল একধরণের শব্দ তরঙ্গ। কোরআনে (৪১:১১) এই বিষয়টি পরোক্ষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে,
١١ ثُمَّ اسْتَوَىٰ إِلَى السَّمَاءِ وَهِيَ دُخَانٌ فَقَالَ لَهَا وَلِلْأَرْضِ ائْتِيَا طَوْعًا أَوْ كَرْهًا قَالَتَا أَتَيْنَا طَائِعِينَ
অর্থঃ অতপর তিনি আসমানের দিকে মনোনিবেশ করলেন, যা (তখন) ছিল ধুম্রকুঞ্জ বিশেষ, এরপর তিনি তাকে ও যমিনকে আদেশ করলেন, তোমরা উভয়েই এগিয়ে এসো- ইচ্ছায় হোক কিংবা অনিচ্ছায়; তারা উভয়েই বললো, আমরা অনুগত হয়েই এসেছি।
Then He directed himself to the Heaven when it was smoke and then said to it and to Earth: “Come willingly or by force” they said “We do come willingly”.
উপরের আয়াতে (কালাতা)/ ‘বললো’ শব্দটি দিয়ে অনুধাবন করা যায় যে, গ্রহ নক্ষত্র চলার ফলে যে তরঙ্গ সৃষ্টি হয় তা তাপ জনিত তরঙ্গও নয়, মধ্যাকর্ষন জনিত তরঙ্গও নয়, আবার তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গও নয়। বরং সেটি হল একধরণের শব্দ তরঙ্গ।
মহাবিশ্ব সৃষ্টির প্রাথমিক পর্যায়ে যে উচ্চ মাত্রার শব্দ তরঙ্গ সৃষ্টি হয়েছিল তা সময়ের সাথে সাথে কমতে কমতে ম্লান হতে হতে সমগ্র মহাবিশ্বে ছড়িয়ে যেতে থাকে। বর্তমানে, মহাকাশ বিজ্ঞানীরা সেই মহাকাশ থেকে ছুটে আসা বিভিন্ন ধরনের শব্দকে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বড় করে তা শুনতে পারে। কোরআনে সঠিক কথাই বলা হয়েছে।