শব্দ তরঙ্গের অস্ত্র (Sonic Weapons)
শব্দ একপ্রকার তরঙ্গ। মানুষ খুব আস্তে শব্দ হলেও শুনতে পায়না আবার অনেক জোড়ে শব্দ হলেও শুনতে পায়না। শব্দকে অস্ত্র হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। সামরিক ও পুলিশের ব্যবহারের জন্য গবেষণাগারে শব্দ তরঙ্গের অস্ত্র নিয়ে গবেষণা চলে। এভাবে তৈরী করা হয় শব্দ-তরঙ্গের বুলেট, শব্দ-তরঙ্গের গ্রেনেড, শব্দ-তরঙ্গের মাইন এবং শব্দ-তরঙ্গের কামান ইত্যাদি। শব্দ তরঙ্গের কারণে মানুষের ক্ষতি হতে পারে, এমনকি মানুষ মারাও যেতে পারে। শব্দ যে অস্ত্র হিসেবেও কাজ করতে পারে তা প্রায় ১৪৫০ বছর আগেই কোরআনে (১১:৬৭) উল্লেখ করা হয়েছে।
٦٧ وَأَخَذَ الَّذِينَ ظَلَمُوا الصَّيْحَةُ فَأَصْبَحُوا فِي دِيَارِهِمْ جَاثِمِينَ
অর্থঃ অতপর যারা (আল্লাহর দীনের সাথে) যুলুম করেছে, এক মহানাদ (তাদের উপর মরন) আঘাত করল, ফলে তারা তাদের ঘর সমুহে মুখ থুবড়ে পড়ে রইল।
And the shout struck those who transgressed, and they became motionless bodies in their homes.
উপরের আয়াতে ‘সাইহা’ অর্থ হল চিৎকার করা বা প্রচণ্ড শব্দ সৃষ্টি করা। উপরের আয়াতে সামুদ জাতির উপর আযাব দেয়ার জন্য একজন ফেরেশতা অনেক জোড়ে মহানাদ বা চিৎকার বা শব্দ করেছিলন এবং সেই শব্দেই সবাই নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। আধুনিক বিজ্ঞানও একই কথা বলছে। শব্দকে অস্ত্র হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে জানলেন ফেরেশতার তৈরী করা প্রচণ্ড শব্দে একটি জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে? আধুনিক বিজ্ঞান থেকে আমরা জানতে পারি শব্দকে অস্ত্র হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।