লোহার ট্যাঙ্ক ধ্বংস করার কৌশল (Armor piercing)

Armor piecing

লোহার ট্যাঙ্ক ধ্বংস করার কৌশল (Armor piercing)

ট্যাঙ্ক আমরা অনেকেই দেখেছি। বন্দুকের গুলি দিয়ে ট্যাঙ্ক ধ্বংস করা যায়না। ট্যাঙ্ক ধ্বংস করার জন্য আলাদা এক ধরনের অস্ত্র আছে। এই ধরেনের অস্ত্রে অত্যন্ত উচু মাত্রার বিস্ফোরক ব্যবহৃত হয়। এ ধরনের অস্ত্রকে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক-মিসাইল বলা হয়। ট্যাঙ্কে পুরু লোহার স্তর থাকে যা ভেদ করা সাধারণ অস্ত্রের মাধ্যমে সম্ভব নয়।

মিসাইলের সঙ্গে ট্যাঙ্কের যখন বিস্ফোরণ ঘটে, তখন সেখানে সুপার জেট বিমানের মত শক্তির সৃষ্টি হয়। এবং এই শক্তির ফলে বিস্ফোরক পদার্থ ট্যাঙ্কের লোহার শরীর ভেদ করে  ট্যাঙ্ককে ধ্বংস বা অকার্যকর করে দেয়। অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক-মিসাইল যখন ট্যাঙ্কের লোহার শরীরে আঘাত করে তখন প্রায় ১৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উৎপন্ন হয় এবং প্রচণ্ড চাপ ও তাপ শক্তি উৎপন্ন হয় যা লোহার শক্ত স্তরকে ভেদ করতে সাহায্য করে। এসময় প্রচণ্ড চাপে প্রথমে আগুনের স্ফুলিঙ্গ বের হয় যা লোহা ভেদ করে ঢুকে পরে এবং তারপর ধোয়ার সৃষ্টি হয়। এটাই হল ট্যাঙ্ক ধ্বংসের অস্ত্র বানানোর কৌশল। আর কোরআনেও (৫৫:৩৫) এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছ,

٣٥  يُرْسَلُ عَلَيْكُمَا شُوَاظٌ مِنْ نَارٍ وَنُحَاسٌ فَلَا تَنْتَصِرَانِ

অর্থঃ সেদিন তোমাদের উভয় সম্প্রদায়ের উপর আগুনের স্ফুলিঙ্গ ও ধোয়ার কুন্ডলী পাঠানো হবে, তোমরা (কিছুতেই তা) প্রতিরোধ করতে পারবেনা।

The flames of fire and smoke will be sent on you two, then you not be able to defend yourselves.

উপরের আয়াতে প্রথমে আগুনের স্ফুলিঙ্গ ও পরে ধোয়ার কুন্ডলীর কথা বলা হয়েছে। ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী মিসাইলেও প্রথমে আগুনের স্ফুলিঙ্গ তৈরী হয় ও পরে ধোয়ার কুন্ডলী তৈরী হয়। আর এটাই যুদ্ধাস্ত্র তৈরির কৌশল।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে জানলেন প্রথমে আগুনের স্ফুলিঙ্গ ও পরে ধোয়া সৃষ্টি হয়, যেটা কিনা যুদ্ধাস্ত্র তৈরির কৌশল? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *