লিঙ্গ (Gender)
এখনও অনেকে মনে করে মায়ের কারণে সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা নির্ধারিত হয়। কিন্তু আসলে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারিত হয় পিতার শুক্রানুর কারণে। মায়ের থাকে XX ক্রোমজোম এবং পিতার থাকে XY ক্রোমজোম। মা কেবল X ক্রোমজোম দিতে পারে কিন্তু পিতা X বা Y উভয় রকম ক্রোমজোমই দিতে পারে। পিতা ও মাতা উভয়েই যখন X ক্রোমজোম দেয় তখন সন্তান মেয়ে হয়। অন্যদিকে, মাতা যখন X ক্রোমজোম দেয় কিন্তু পিতা দেয় Y ক্রোমজোম, তখনই সন্তান হয় ছেলে। আল্লাহর হুকুমেই তা সংঘটিত হয়।
এ বিষয়টি কোরআনে (৫৩:৪৫-৪৬) উল্লেখ করা হয়েছে।
وَأَنَّهُ خَلَقَ الزَّوْجَيْنِ الذَّكَرَ وَالْأُنْثَى (45) مِنْ نُطْفَةٍ إِذَا تُمْنَى (46)
অর্থঃতিনিই নরনারীর যুগল পয়দা করেছেন।(পয়দা করেছেন) একবিন্দু (স্খলিত) শুক্র থেকে।
And He (Allah) creates pairs, male and female, from sperm emitted.
আরও একটি অবাক হবার বিষয় আছে। মানুষের ক্রমোজোম ২৩ জোড়া। এর মধ্যে পিতা থেকে আসে ২৩টি এবং মাতা থেকে আসে ২৩টি। অর্থ্যাৎ, প্রতিটি সন্তানের ( পিতার ২৩টি + মাতার ২৩টি) = ৪৬ টি ক্রমোজোম থাকে। ২৩ জোড়া = ৪৬ টি। এবার লক্ষ্য করুন আয়াতটি কত নম্বর। উপরের আয়াতটি সুরার ৪৬নম্বর আয়াত যেখানে পুরুষের শুক্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। লক্ষ্য করুন। ক্রোমোজোম নম্বর এবং আয়াতের নম্বর একই। উভয়েই ৪৬।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে জানলেন সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারনে পিতা দায়ী, মাতা নয়? তিনি কিভাবে কোন আধুনিক যন্ত্র ছাড়াই এগুলো জেনেছিলেন এবং তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।