মেঘের ওজন (Weight Of Clouds)
সাদা মেঘ দেখতে তুলার মত। আর এজন্য আগের দিনের মানুষ ভাবত মেঘের ওজনও তুলার মত অনেক কম। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি মেঘের ওজন অনেক কারণ মেঘ তরল পানির বাষ্পীয় রূপ।বাষ্পীয় অবস্থায় পানি বেশি জায়গা দখল করে।
একটি মাঝারি আকৃতির মেঘে প্রায় ১০০ হাতির ওজনের সমান পানি থাকে। মেঘ যে ওজনে ভারী সে বিষয়ে কোরআনে (১৩:১২) উল্লেখ করা হয়েছে,
هُوَ الَّذِي يُرِيكُمُ الْبَرْقَ خَوْفًا وَطَمَعًا وَيُنْشِئُ السَّحَابَ الثِّقَالَ (12)
অর্থঃ তিনিই তোমাদের বিদ্যুতের (চমক) দেখান, তা (মানুষের মনে যেমন) ভয়ের (সঞ্চার করে), তেমনি বহু আশারও (সঞ্চার করে), তিনিই পানি সঞ্চয়িনি (ভারী) মেঘমালা সৃষ্টি করেন।
It is He who shows you the lightening, causing fear and hope, And He produces the heavy clouds.
উপরের আয়াতে ‘সিকালা’ শব্দের অর্থ ভারী। এখানে ভারী মেঘের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে জানলেন মেঘের অনেক ভারী যা প্রত্যক্ষভাবে এই আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।