মাতৃগর্ভ (Womb)
নারীর রজঃস্রাব বা মাসিক চক্র চলাকালীন সময়ে তার গর্ভাশয়ের ভেতরের দিকের স্তরটির পুরুত্ব ২ থেকে ১৬ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। সম্প্রতি এটা আবিষ্কৃত। কিন্তু ১৪৫০ বছর আগেই কোরআন বলছে, আল্লাহ গর্ভাশয়ের প্রতিটি সম্প্রসারন এবং সংকোচন সম্পর্কে জানেন। কোরআনে (১৩:৮) উল্লেখ আছে,
٨ اللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَحْمِلُ كُلُّ أُنْثَىٰ وَمَا تَغِيضُ الْأَرْحَامُ وَمَا تَزْدَادُ ۖ وَكُلُّ شَيْءٍ عِنْدَهُ بِمِقْدَارٍ
অর্থঃ প্রতিটি গর্ভবতী নারী তার ভেতরে যা কিছু বহন করে চলেছে এবং (তার) জরায়ু (সন্তানের) যা কিছু বাড়ায় কমায়, তার সবই আল্লাহ তায়ালা জানেন, তার কাছে প্রতিটি বস্তুরই একটি নির্দিষ্ট পরিমান নির্ধারন করা আছে।
Allah knows what every female bears, and every decrease and increase to the wombs. With Him, everything is by measure.
আল্লাহ গর্ভবতী নারীর গর্ভের ভেতরের ভ্রূণের সম্প্রসারন এবং সংকোচন সম্পর্কে যেমন অবহিত, তেমনি রজঃস্রাব বা মাসিক চক্রের ধাপ অনুযায়ী নারীর গর্ভাশয়ের ভেতরের দিকের স্তরটির (Endometrium) পুরুত্ব বৃদ্ধি বা হ্রাস সম্পর্কেও অবহিত। এ বৃদ্ধি মাত্র ২ থেকে ১৬ মিলিমিটার পর্যন্ত হয়। আধুনিক যন্ত্র ছাড়া এই পরিবর্তন পরিমাপ করা যায়না। হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর যুগে এই পরিবর্তন নির্নয় করা ছিল অসম্ভব।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে জানলেন গর্ভাশয়ের বৃদ্ধি বা হ্রাস সম্পর্কে? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।