মহাকাশে সুনির্দিষ্ট কোন দিক নেই (Isotropy)

Isotrophy

মহাকাশে সুনির্দিষ্ট কোন দিক নেই (Isotropy)

আমরা পৃথিবীতে সুর্য যে দিকে উঠে সেই দিককে পুর্ব দিক বলি এবং যে দিকে সুর্য অস্ত যায় সে দিককে পশ্চিম দিক বলি। সুর্যকে কেন্দ্র করা পৃথিবী ঘুরছে। আর এ জন্যই আমাদের কাছে পুর্ব দিক বা পশ্চিম দিক আছে। কিন্তু মহাকাশে নির্দিষ্ট কোন দিক নেই। কারণ, মহাকাশে সুর্যের মত অসংখ্য নক্ষত্র আছে।এ বিষয়ে কোরআনে (২৪:৩৫) উল্লেখ করা হয়েছে।

٣٥  اللَّهُ نُورُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ مَثَلُ نُورِهِ كَمِشْكَاةٍ فِيهَا مِصْبَاحٌ ۖ الْمِصْبَاحُ فِي زُجَاجَةٍ ۖ الزُّجَاجَةُ كَأَنَّهَا كَوْكَبٌ دُرِّيٌّ يُوقَدُ مِنْ شَجَرَةٍ مُبَارَكَةٍ زَيْتُونَةٍ لَا شَرْقِيَّةٍ وَلَا غَرْبِيَّةٍ يَكَادُ زَيْتُهَا يُضِيءُ وَلَوْ لَمْ تَمْسَسْهُ نَارٌ ۚ نُورٌ عَلَىٰ نُورٍ ۗ يَهْدِي اللَّهُ لِنُورِهِ مَنْ يَشَاءُ ۚ وَيَضْرِبُ اللَّهُ الْأَمْثَالَ لِلنَّاسِ ۗ وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ

অর্থঃআল্লাহ তায়ালাই হচ্ছে আসমানসমূহ ও জমিনের নুর; তার এ নুরের উদাহরণ হচ্ছে- তা যেমন একটি তাকের মত,তাতে একটি প্রদীপ (রাখা) আছে; প্রদীপটি (আবার) স্থাপন করা হয়েছে (স্বচ্ছ একটি) কাচের আবরনের ভিতর;কাচের আবরণটি হচ্ছে উজ্জ্বল একটি তারার মত- যা প্রজ্বলিত করা হয় পবিত্র যয়তুন গাছ (নিসৃত তেল) দ্বারা,যা (শুধু) পুর্বদিকের (সুর্যের আলো থেকেই আলোকপ্রাপ্ত) নয়; পশ্চিম দিকের (সুর্যের আলোকপ্রাপ্ত) নয়; (বরং এটি সবসময়ই প্রজ্বলিত থাকে);আবার এর তেল এতো পরিষ্কার, (দেখলে) মনে হয়, তা বুঝি নিজে নিজেই জ্বলে উঠবে, যদি আগুন তাকে (ততোক্ষণে) স্পর্শও না করে থাকে;(আর যদি আগুন স্পর্শ করেই ফেলে তাহলে তা হবে)নুরের উপর (আরো) নুর; আল্লাহ তায়ালা তার এ নুরের দিকে যাকে চান তাকেই হেদায়েত দান করেন; আল্লাহ তায়ালা (এভাবে) মানুষদের (বোঝানোর) জন্য নানা উপমা পেশ করে থাকেন;আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক বিষয় সম্পর্কেই সম্যক অবগত আছেন,

Allah is the Light of the heavens and the earth. The allegory of His light is that of a pillar on which is a lamp. The lamp is within a glass. The glass is like a brilliant planet, fueled by a blessed tree, an olive tree, neither eastern nor western. Its oil would almost illuminate, even if no fire has touched it. Light upon Light. Allah guides to His light whomever He wills. Allah thus cites the parables for the people. Allah is cognizant of everything.

উপরের আয়াতে কাচের পাত্রে থাকা প্রদীপকে মহাকাশে থাকা বিশাল কোন নক্ষত্রের সাথে তুলনা করা যায়, যা পুর্বমুখীও নয় এবং পশ্চিম্মুখীও নয়। উপরের আয়াতের এই অংশ থেকেই বোঝা যায়, মহাকাশে নির্দিষ্ট কোন দিক নেই। যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে জানলেন মহাকাশে নির্দিষ্ট কোন দিক নেই? তিনি কিএ বিষয়েরউপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *