মশা (Mosquito)

Mosquito

মশা (Mosquito)

মশা একটি পরজীবী প্রাণী। পুরুষ ও নারী মশা অন্যান্য প্রাণীর রক্ত এবং বিভিন্ন গাছের রস খেয়ে বেঁচে থাকে। মশার বিভিন্ন প্রজাতি আছে। নারী মশাগুলোর মুখের অগ্রভাগ বিশেষভাবে তৈরী, অনেকটা সুচের মত, যেন তা অন্য প্রাণীর ত্বক ছিদ্র করে রক্ত শুষে নিতে পারে। মশার এমন কিছু প্রজাতি আছে, যাদের নারী মশাগুলো ডিম পারার আগে তাদের বিশেষ পুষ্টির দরকার হয়। আর সেই বিশেষ পুষ্টি যোগায় অন্য প্রাণীর রক্ত। আবার অনেক প্রজাতির ক্ষেত্রে নারী মশা অন্য প্রাণীর রক্ত খেলে বেশী ডিম পারতে সক্ষম হয়। মশা বিভিন্নভাবে তার শিকারকে খোঁজে। কখনও গন্ধের মাধ্যমে, কখন দৃষ্টিশক্তি ব্যবহার করে। আবার কখনও বা তারা তাপমাত্রার পার্থক্য করতে পারে। যে সব প্রাণীর শরীরে উত্তাপ আছে এবং নড়াচড়া করে তাদের কে মশারা আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে পারে। অন্য প্রাণীর রক্তেই মশার জন্য থাকে পুষ্টি এবং শর্করা। কিন্তু নারী মশার ডিম পারার জন্য যে পুষ্টি দরকার হয়, নারী মশা তা অন্য প্রাণীর রক্ত খেয়ে অর্জন করে।

কোরআনে যে মশার কথা বলা হয়েছে তা হল নারী মশা। আধুনিক বিজ্ঞান থেকে আমরা জানতে পারি, মশা যেমন অন্য প্রাণীর রক্ত খেয়ে বাঁচে, ঠিক তেমনি মশার চেয়েও ছোট একধরণের পরজীবী আছে, যা মশার উপর নির্ভর করে বাঁচে। কোরআনে (০২:২৬) নারী মশা সম্পর্কে এবং মশার থেকেও যে ছোট পরজীবী থাকতে পারে সে বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

إِنَّ اللَّهَ لَا يَسْتَحْيِي أَنْ يَضْرِبَ مَثَلًا مَا بَعُوضَةً فَمَا فَوْقَهَا فَأَمَّا الَّذِينَ آَمَنُوا فَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِنْ رَبِّهِمْ وَأَمَّا الَّذِينَ كَفَرُوا فَيَقُولُونَ مَاذَا أَرَادَ اللَّهُ بِهَذَا مَثَلًا يُضِلُّ بِهِ كَثِيرًا وَيَهْدِي بِهِ كَثِيرًا وَمَا يُضِلُّ بِهِ إِلَّا الْفَاسِقِينَ (26)

অর্থঃ (সত্য প্রমানের জন্য) আল্লাহ মশা (নারী) কিংবা তার চাইতেও ছোট যা কিছু আছে তার উদাহরন দিতেও লজ্জাবোধ করেন না…

Indeed, Allah is not timid to present an example – that of a mosquito (female) or what is smaller than it

উপরের আয়াতে ‘বায়ুদাতান’ শব্দটি দিয়ে নারী মশাকে বুঝানো হয়। এবং একই সাথে ঐ একই আয়াতেও এ কথাও বলা হয়েছে যে মশার থেকেও ছোট পরজীবী আছে।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন, তিনি কেন এই আয়াতে নারী মশার কথাই উল্লেখ করেছেন? মশা না হয় বুঝলাম খালি চোখে দেখা যায় কিন্তু মশার থেকেও ছোট পরজীবী আছে যা খালি চোখে দেখা যায় না, এমন বিষয় তিনি কিভাবে নিশ্চিত হয়েছিলেন? তিনি কি এই বিষয়ে গবেষনা করেছেন এবং এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *