মরিচা (Rust)

Rust

মরিচা (Rust)

লোহাকে যদি বেশি সময় ধরে পানিতে বা খোলা জায়গায় রাখা হয়, তাহলে লোহা অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে মরিচা তৈরী করে। আমরা জানি, পানিতে এবং বাতাসে অক্সিজেন থাকে। মরিচা যেন না পড়ে অথবা জং যেন না ধরে, সে জন্য লোহার উপর বিভিন্ন ধরণের রঙ করা হয় বা বিভিন্ন বস্তুর প্রলেপ দেয়া হয়। এই পদ্ধতিকে ইলেকট্রোপ্লেটিং বলে। এই পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে অল্প কিছুদিন আগে।

কিন্তু এ পদ্ধতির কথা কোরআনে (১৮:৯৬) আজ থেকে প্রায় ১৪৫০ বছর আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। এই আয়াতে জুলকারনাইন লোহাতে মরিচা পরা বন্ধের ব্যবস্থা করেছিলেন।

آَتُونِي زُبَرَ الْحَدِيدِ حَتَّى إِذَا سَاوَى بَيْنَ الصَّدَفَيْنِ قَالَ انْفُخُوا حَتَّى إِذَا جَعَلَهُ نَارًا قَالَ آَتُونِي أُفْرِغْ عَلَيْهِ قِطْرًا (96)

অর্থঃতোমরা আমার আছে এ কাজসমুহের জন্য লোহার পাতসমুহ নিয়ে এসো (অতপর সে অনুযায়ী তা আনা হল এবং প্রাচীর তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেল); যখন মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানটি (পুর্ন হয়ে লৌহ স্তুপগুলো দুটো পর্বতের) সমান হয়ে গেল, তখন সে তাদের লক্ষ্য করে বলল, তোমরা হাপরে দম দিতে থাক, অতঃপর যখন তা আগুনকে উত্তপ্ত করল, তখন সে বলল, এখন তোমরা আমার কাছে কিছু গলানো তামা নিয়ে এসো, আমি তা এর উপর ঢেলে দিব।

“Bring me blocks of iron.” So that, when he split it equally between the two shells, he said, “Blow.” And having turned it into a fire, he said, “Bring me tar to pour over it.”

উপরের আয়াতে লোহায় যেন মরিচা না পড়ে সে জন্য কিছু গলানো তামা ব্যবহার করা হয়েছে।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি একজন রসায়নবিদ ছিলেন? সুরক্ষার জন্য লোহার উপর প্রলেপ দেয়া সম্পর্কে ঐ আমলে এত কিছু তিনি কিভাবে জানলেন যা বিজ্ঞান মাত্র কয়েক বছর আগে আবিষ্কার করেছে? তিনি কি মরিচার উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *