ভুমির সম্প্রসারন (Soil Expansion)
আমরা অনেক সময় দেখি সাগরের মাঝখানে প্রাকৃতিক ভাবেই বালু জমে দ্বীপ জেগে উঠে। আবার মাটিতেও এমন সব উপাদান থাকে যা পানি গ্রহণ করে আয়তনে বৃদ্ধি পায়। এই আয়তন বৃদ্ধির ফলে মাটির উপরের বিল্ডিং বা রাস্তায় অনেক সময় ফাটলও দেখা দেয়। এ বিষয়ে (৪১:৩৯) কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে।
وَمِنْ آَيَاتِهِ أَنَّكَ تَرَى الْأَرْضَ خَاشِعَةً فَإِذَا أَنْزَلْنَا عَلَيْهَا الْمَاءَ اهْتَزَّتْ وَرَبَتْ إِنَّ الَّذِي أَحْيَاهَا لَمُحْيِي الْمَوْتَى إِنَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ (39)
অর্থঃ তার কুদরতের আরেকটি নিদর্শন হচ্ছে, তুমি জমিনকে দেখতে পাচ্ছো শুষ্ক (ও অনুর্বর হয়ে পরে আছে) অতপর তার উপর আমি যখন পানি বর্ষণ করি, তখন সহসাই তা শস্য শ্যামল হয়ে স্ফীত হয়ে উঠে, অবশ্যই যে (আল্লাহ) এ (মৃত জমিন)-কে জীবন দান করেন তিনি মৃত (মানুষ)-কেও জীবিত করবেন। নিঃসন্দেহে তিনি সর্ব বিষয়ের উপর একক শক্তিমান।
And of His signs is that you see the land still. But when We send down water upon it, it shakes and rises. Surely, He Who revived it will revive the dead. He is Able to do all things.
উপরের আয়াতে ‘রাবাত’ অর্থ কোন কিছু বৃদ্ধি পাওয়া বা জেগে উঠা। কোরআনে অন্য একটি আয়াতেও (১৩:১৭) এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে জানলেন পানির প্রভাবে ভূমি স্ফীত হয় বা আয়তনে বৃদ্ধি পায়? তিনি কিএ বিষয়েরউপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।