ভর (Mass)
স্ট্রিংয়ের তত্ত্ব থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম ভর হল একটি খুবই ছোট্ট সূতা। আমরা যদি একটি বিন্দুভরকে একটি ছোট্ট একমাত্রিক সূতা দ্বারা পরিবর্তন করার কথা কল্পনা করতে পারি, তাহলে তাকেই স্ত্রিংয়ের তত্ত্ব অনুযায়ী বলা হয় বস্তুর ক্ষুদ্রতম এককের ভর। এবং ঐ সুতার কম্পনই নির্ধারন করবে ঐ ক্ষুদ্রতম এককের ভর, চার্জ এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট কেমন হবে? অল্প না বেশি। কোরআনেও (৪:৪৯) বস্তুর ক্ষুদ্রতম একককে পরোক্ষভাবে সূতা বলা হয়েছে।
٤٩ أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ يُزَكُّونَ أَنْفُسَهُمْ ۚ بَلِ اللَّهُ يُزَكِّي مَنْ يَشَاءُ وَلَا يُظْلَمُونَ فَتِيلً
অর্থঃ (হে নবী) তুমি কি তাদের অবস্থা দেখোনি যারা নিজেদের খুব পবিত্র মনে করে, অথচ আল্লাহ তায়ালা যাকে ইচ্ছা তাকেই পবিত্র করেন এবং (সেদিন) তাদের উপর এক বিন্দু (সুতা) পরিমাণও যুমুল করা হবেনা।
Have you not considered those who claim purity for themselves? Rather, Allah purifies whom He wills, and they will not be wronged by a wick.
উপরের আয়াতে ‘ফাতিল’ শব্দের অর্থ হল এক বিন্দু পরিমাণ। এর অন্য একটি অর্থ হল এক চুল বা সুতা পরিমান। আবার স্ট্রিং তত্ত্ব অনুযায়ী বস্তুর ক্ষুদ্রতম একক হল অতি ক্ষুদ্র একটি সুতা। এবং ঐ সুতার কম্পন দ্বারাই নির্ধারিত হয় ঐ সুতার ভর কত হবে। রসায়ন অনুযায়ী যোগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম একক হল অনু আর মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম একক হল পরমানু। কিন্তু স্ট্রিং তত্ত্ব অনুযায়ী বস্তুর ক্ষুদ্রতম একক হল অতি ক্ষুদ্র একটি সুতা।
কোরআনের অপর একটি আয়াতেও (০৪:১২৪) এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
١٢٤ وَمَنْ يَعْمَلْ مِنَ الصَّالِحَاتِ مِنْ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَأُولَٰئِكَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ وَلَا يُظْلَمُونَ نَقِيرًا
অর্থ: (পক্ষান্তরে) যে ব্যক্তি কোন ভাল কাজ করবে- নর কিংবা নারী, সে যদি ঈমানদার অবস্থায়ই তা (সম্পাদন) করে, তাহলে (সে এবং তার মত) সব লোক অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে, পুরষ্কার দেয়ার সময় তাদের উপর বিন্দুমাত্র ও অবিচার করা হবেনা।
But whoever works righteousness, whether male or female, and is a believer, those will enter Paradise, and will not be wronged by a pluck.
উপরের আয়াতে ‘নাকিরান’ শব্দের অর্থ হল অতি ছোট্ট সুতার একটি কম্পন। উপরের আগের আয়াতটিতে ‘ফাতিল’ শব্দের অর্থ হল এক চুল বা সুতা। আর এই আয়াতে ‘নাকিরান’ শব্দের অর্থ হল সেই সুতার একটি কম্পন। উভয় শব্দই পদার্থের ক্ষুদ্রতম এককের ইঙ্গিত দিচ্ছে। আর আধুনিক বিজ্ঞানের মাধ্যমে স্ট্রিং তত্ত্ব থেকে আমরা জানতে পারি, পদার্থের সেই ক্ষুদ্রতম এককই হল কম্পমান সুতা।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে জানলেন অতি ক্ষুদ্র সুতার কম্পনই হল ওই বস্তুর ক্ষুদ্রতম ভর? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।