পূর্নিমা (Full Moon)

Full Moon

পূর্নিমা (Full Moon)

বাইবেল অনুযায়ী যীশু সম্পুর্ন পৃথিবীকে উঁচু একটি জায়গা থেকে দেখতে পেরেছিলেন। কিন্তু তা সম্ভব নয়। কারণ তাহলে পৃথিবীকে গোলাকার না হয়ে সমতল হতে হবে। এখন আমরা জানি পৃথিবী গোলাকার। পূর্নিমা দেখার জন্য অথবা সম্পুর্ন গোল চাঁদটি দেখার জন্য সুর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ একই সরলরেখা বরাবর থাকতে হবে নিচের চিত্রের মত। এবং পৃথিবীর অবস্থান হবে চাঁদ ও সুর্যের মাঝখানে।

তাহলেই সুর্যের আলো চাঁদে গিয়ে পরবে এবং পৃথিবীর অন্ধকার অঞ্চল থেকে চাঁদের সম্পুর্ন আলোকিত অংশ দেখা সম্ভব হবে। কিন্তু পৃথিবীর যে পাশে দিন থাকবে, সে পাশের মানুষেরা পূর্নিমার সম্পুর্ন চাঁদ দেখতে পাবেনা। দিনে হয়ত আংশিক চাঁদ দেখা সম্ভব কিন্তু সম্পুর্ন চাঁদ দেখতে হলে মানুষকে অবশ্যই তা রাতে দেখতে হবে। কেবলমাত্র সন্ধ্যার পর থেকে সুর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যেই সম্পুর্ন চাঁদকে দেখা সম্ভব। অর্থ্যাৎ, সন্ধ্যা ও রাতের সাথেই পুর্নিমার সম্পুর্ন চাঁদ দেখার সম্পর্ক আছে এবং কোরআনেও (৮৪:১৬-১৮)আল্লাহ সন্ধ্যা রাতের সাথে পুর্নিমার সম্পুর্ন চাঁদের শপথ করেছেন। দিনের সাথে করেননি।

١٦  فَلَا أُقْسِمُ بِالشَّفَقِ١٧  وَاللَّيْلِ وَمَا وَسَقَ١٨  وَالْقَمَرِ إِذَا اتَّسَقَ

অর্থঃ শপথ সন্ধ্যাকালীন রক্তিম আভার, এবং শপথ রাতের ও এর ভেতরে যত কিছুর সমাবেশ ঘটে তার, এবং শপথ (ঐ) চাঁদটির, যখন তা (ধীরে ধীরে) পুর্নাংগ চাঁদে পরিণত হয়ে যায়।

I swear by the twilight. And by the night, and what it covers. And by the moon, as it grows full.

উপরের আয়াতে, সন্ধ্যা, রাত এবং পুর্নাংগ চাঁদ তিনটি বিষয়েই আল্লাহ শপথ করেছেন। আজকের আধুনিক বিজ্ঞান থেকে আমরা জানতে পেরেছি, এই শপথগুলো নিরর্থক বা বিছিন্ন নয় বরং এদের পরস্পরের মধ্যে কার্যকরনের সম্পর্কও আছে।

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে জানলেন সন্ধ্যা ও রাতের সাথেই পুর্নাংগ চাঁদের সম্পর্ক রয়েছে কিন্তু দিনের সাথে নেই? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *