দুই ধরনের পানির মধ্যবর্তী দেয়াল (Water stratification)
সাগরে এমন জায়গা আছে, যেখানে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে পানির ঘনত্ব, তাপমাত্রা, লবনের পরিমান এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান ভিন্ন ভিন্ন হয়। ফলে সাগরে দুই রকমের পানি পাওয়া যায়। একটি হল মিঠা পানি এবং অন্যটি হল লবনাক্ত পানি। এবং এই দুই ধরনের পানির মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টিকারী একটি দেয়াল বা স্তর থাকে। এই স্তরটি মিঠা পানি এবং লবনাক্ত পানিকে মিলিত হতে দেয়না। ফলে তারা আলাদা হয়ে থাকে। কোরআনে এ বিষয়ে (২৫:৫৩) উল্লেখ করা হয়েছে।
٥٣ وَهُوَ الَّذِي مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ هَٰذَا عَذْبٌ فُرَاتٌ وَهَٰذَا مِلْحٌ أُجَاجٌ وَجَعَلَ بَيْنَهُمَا بَرْزَخًا وَحِجْرًا مَحْجُورًا
অর্থঃ তিনি (একই জায়গায়) দুটো সাগর একসাথে প্রবাহিত করে রেখেছেন, একটি হচ্ছে মিষ্টি ও সুপেয়, আর একটি লোনা ও ক্ষার বিশিষ্ট, উভয়ের মাঝখানে তিনি একটি সীমারেখা বানিয়ে রেখেছেন, সত্যিই এটি একটি অনতিক্রম্য ব্যবধান।
And it is He who merged the two seas; this one fresh and pure, and that one salty and bitter; and He placed between them a barrier and a boundary.
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে মরুভুমিতে থেকেও জানলেন যে, সাগরের মিষ্টি ও লোনা পানির মাঝখানে পার্থক্য সৃষ্টিকারী একটি স্তর বা দেয়াল আছে? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।