ত্বক বা চামড়া (Skin Nerves)
আমাদের ত্বকের বা চামড়ার নিচে এক ধরণের ‘পেইন রিসেপ্টর’ থাকে যা চামড়ায় কোন জ্বালাপোড়া হলে সেই সংকেত আমাদের মস্তিষ্কে পাঠায় এবং আমরা ব্যথা অনুভব করি। কিন্তু, এই পেইন রিসেপ্টরের স্তরটি যদি পুড়ে যায় তাহলে কোন সংকেত আর মস্তিষ্কে যেতে পারেনা। এমনটি হলে মানুষ আর কোন জ্বালাপোড়া অনুভব করতে পারবেন না।
কোরআনে (৪:৫৬) এ সম্পর্কিত একটি আয়াত আছে,
٥٦ إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا بِآيَاتِنَا سَوْفَ نُصْلِيهِمْ نَارًا كُلَّمَا نَضِجَتْ جُلُودُهُمْ بَدَّلْنَاهُمْ جُلُودًا غَيْرَهَا لِيَذُوقُوا الْعَذَابَ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَزِيزًا حَكِيمًا
অর্থঃ যারা আমার আয়াত সমূহ অস্বীকার করেছে তাদের আমি অচিরেই জাহান্নামের আগুনে পুড়িয়ে দিব, অতঃপর পুড়ে যখন তাদের দেহের চামড়া গলে যাবে তখন আমি তার বদলে নতুন চামড়া বানিয়ে দিব, যাতে করে তারা আযাব ভোগ করতে পারে, অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা মহাপরাক্রমশালী, বিজ্ঞ কুশলী।
Those who disbelieve in Our verses, We (Allah is one and only) will drive them into a fire, every time their skins are roasted We (Allah is one and only) will replace their skins with other new skins so that they may taste the torture. Allah is ever Exalted in Might and Wise.
উপরের আয়াত থেকে সহজেই বুঝা যায় নিশ্চয়ই চামড়ায় এমন কিছু আছে যা নষ্ট হয়ে গেলে নতুন চামড়ার দরকার হবে। আর এটাই হল ‘পেইন রিসেপ্টর’ যা চামড়া থেকে মস্তিষ্ক পর্যন্ত তথ্য বা সংকেত নিয়ে আসে। ‘পেইন রিসেপ্টর’ নষ্ট হয়ে গেলে তথ্য বা সংকেত আসা বন্ধ হয়ে যায়। উপরের আয়াতে আল্লাহ পরোক্ষভাবে বলেছেন ‘পেইন রিসেপ্টর’ নষ্ট হয়ে গেলে তিনি নতুন চামড়া বানিয়ে দিবেন।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে জানলেন চামড়ার মধ্যে ‘পেইন রিসেপ্টর’ নামক কিছু একটা আছে, যা নষ্ট হয়ে গেলে নতুন চামড়ার প্রয়োজন হবে? খালি চোখে ‘পেইন রিসেপ্টর’ দেখা যায়না। তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।