তটরেখা বা সাগরের তীর (Shorelines)

Shorelines

তটরেখা বা সাগরের তীর (Shorelines)

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর দুই মেরুতে জমে থাকা বরফগুলি গলতে শুরু করে। ফলে সাগরে পানির উচ্চতা বেড়ে যায় এবং উপকূলীয় অঞ্চলগুলো পানির নিচে তলিয়ে যায়। তটরেখা বা সাগরের তীর কমে আসে। ছোট ছোট দ্বীপগুলো পানির নিচে তলিয়ে যায়। পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে পৃথিবীর প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ মানুষের বসবাস যেই শহরগুলোতে, সেই শহরগুলো পানিতে ডুবে যাওয়ার হুমকির শিকার হয়। গবেষকরা গ্রিনল্যান্ড হিমশৈল নিয়ে গবেষণা করেন। হিমশৈলের বরফ গলে কি পরিমান পানি সাগরে মিশে যায় এবং তার সাথে দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অববাহিকায় কি পরিমান তুষারপাত হয়, ইত্যাদি বিষয়ের উপর গবেষনা করে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পেরেছেন যে, মেরুঅঞ্চলের বরফ এতই দ্রুত হারে গলে যাচ্ছে, যা বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা থেকেও বেশি এবং আমাদের সকলের জন্য ভয়ের কারণ।

কোরআনে পানি বা ‘বাহর’ শব্দটি এসেছে ৩২ বার। পানি দিয়ে সব সাগরকে বুঝানো হয়েছে। ভূমি বা ‘বার’ শব্দটি এসেছে ১৩ বার। ভূমি দিয়ে সকল মহাদেশকে বুঝানো হয়েছে। কোরআনে পানি এবং ভূমি শব্দের উপস্থিতি অনুযায়ী,

পৃথিবীতে পানির পরিমান ৩২/(৩২+১৩) = ৭১ শতাংশ

পৃথিবীতে ভুমির পরিমান ১৩/(৩২+১৩) = ২৯ শতাংশ

বাস্তবেও মহাসাগর এবং মহাদেশ গুলোর আকার পরিমাপ করে জানা যায়, পানির পরিমান প্রায় ৭১ শতাংশ এবং ভুমির পরিমান প্রায় ২৯ শতাংশ। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর দুই মেরুতে জমে থাকা বরফগুলি গলতে শুরু করলে তটরেখা বা সাগরের তীর কমে যায় বা ছোট হয়ে আসে। এ বিষয়ে কোরআনে (১৩:৪১) উল্লেখ করা হয়েছে।

أَوَلَمْ يَرَوْا أَنَّا نَأْتِي الْأَرْضَ نَنْقُصُهَا مِنْ أَطْرَافِهَا وَاللَّهُ يَحْكُمُ لَا مُعَقِّبَ لِحُكْمِهِ وَهُوَ سَرِيعُ الْحِسَابِ (41)

অর্থঃ এরা কি দেখতে পায়না যে, আমি তাদের জমিন চারিদিক থেকে (আস্তে আস্তে) সংকুচিত করে আনছি, আল্লাহ (যা চান সে) আদেশ জারি করেন, তার সে আদেশ উল্টে দেবার কেউ নেই, তিনি হিসাব গ্রহনে খুবই তৎপর।

Do they not see how We (Allah is one and only) deal with the land, diminishing it at its edges? Allah judges; and nothing can hold back His judgment. And He is quick to settle accounts.

যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কিভাবে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে মহাদেশগুলোর তটরেখা বা সাগরের তীর কমে যাওয়া বা ছোট হয়ে আসা সম্পর্কে ঐ আমলে এত কিছু জানলেন যা বিজ্ঞান মাত্র কয়েক বছর আগে আবিষ্কার করেছে? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছেন? নাউযুবিল্লাহ কোরআন আল্লাহর বানী।

Author: moq@2020@

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *