জোড়া (Pairs)
আজ থেকে প্রায় একশ বছর আগেও মানুষ ভাবত, মানুষ সহ অন্য সব পশুপাখিরাই জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্ট। অর্থ্যাৎ, নর এবং নারী। পুরুষ এবং মহিলা।
কিন্তু আজ থেকে প্রায় ১৪৫০ বছর আগেই কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শুধুমাত্র পশুপাখি নয় বরং মাটি থেকে জেগে উঠা গাছপালা এবং আমরা পদার্থের যেসব ক্ষুদ্রতম কণা খালি চোখে দেখতে পাইনা (ইলেকট্রন-পজিট্রন এবং কোয়ার্ক-এন্টিকোয়ার্ক ইত্যাদি), তারাও জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্ট। কোরআনে এ বিষয়ে (৩৬:৩৬) উল্লেখ করা হয়েছে,
٣٦ سُبْحَانَ الَّذِي خَلَقَ الْأَزْوَاجَ كُلَّهَا مِمَّا تُنْبِتُ الْأَرْضُ وَمِنْ أَنْفُسِهِمْ وَمِمَّا لَا يَعْلَمُونَ
অর্থঃ পবিত্র ও মহান সে সত্ত্বা, সবকিছুকে জোড়ায় জোড়ায় পয়দা করেছেন, (চাই তা) যমীনের উৎপন্ন উদ্ভিদ থেকে হোক, কিংবা (হোক) স্বয়ং তাদের নিজেদের থেকে, অথবা এমন সব সৃষ্টি থেকে হোক, যাদের (সম্পর্কে) মানুষ (এখনও) আদৌ (কিছু) জানেই না।
Glory to Him (Allah), Who created in pairs all things that the land produces, and their own kind (humans) and other things of that they have no knowledge of.
আধুনিক বিজ্ঞানের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, পরমানুকে ভাঙলে আমরা ইলেকট্রন ও পজিট্রন পাই। এবং পরমানুতে ইলেকট্রন ও পজিট্রনের সংখ্যা সমান।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে জানলেন পরমাণুকে ভাঙলে যে ইলেকট্রন ও পজিট্রন পাওয়া যায়, তারা সংখ্যায় সমান এবং এদের আমরা খালি চোখে দেখতে পাইনা? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।