চুম্বকীয় ক্ষেত্রের স্তর (Magnetosphere)
গায়ে চাদর দিলে যেমন ঠাণ্ডা বা শীত শরীরে লাগেনা, ঠিক তেমনি পৃথিবীর চারপাশেও চুম্বকীয় ক্ষেত্রের একটি অদৃশ্য স্তর মোড়ানো আছে। পৃথিবীর চারপাশে বায়ুমণ্ডলের একটি স্তর আছে। মহাকাশের আবর্জনা বা ছোট ছোট গ্রহাণুপুঞ্জ পৃথিবীর দিকে ছুটে আসলে এই বায়ুমণ্ডলীয় স্তরে বাঁধা পেয়ে ঘর্ষনের ফলে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এটি একটি দৃশ্যমান প্রক্রিয়া। আবার, পৃথিবীর চারপাশে চুম্বকীয় ক্ষেত্রের একটি অদৃশ্য স্তরও আছে যা ক্ষতিকর বিভিন্ন রশ্মি পৃথিবীতে ঢুকতে বাঁধা দেয়। চুম্বকীয় ক্ষেত্রের এই স্তরটি না থাকলে সুর্যের ক্ষতিকর রশ্মির কারণে পৃথিবীর জীবজগৎ ধ্বংস হয়ে যেত। পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকত না।
কোরআনে (২১:৩২) এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
٣٢ وَجَعَلْنَا السَّمَاءَ سَقْفًا مَحْفُوظًا ۖ وَهُمْ عَنْ آيَاتِهَا مُعْرِضُونَ
অর্থঃ আমি আকাশকে একটি সুরক্ষিত ছাদ হিসেবে তৈরী করেছি, কিন্তু এ নির্বোধ ব্যক্তিরা তার নিদর্শন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
And We (Allah is one and only) made the sky a protected shield and they turn away from its sign.
উপরের আয়াতে আকাশকে সুরক্ষিত ছাদ বা প্রতিরক্ষার পোশাক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রশ্ন হল শুধুমাত্র ছাদ বললেইতো হত। কিন্তু সুরক্ষিত ছাদ বা প্রতিরক্ষার পোশাক কেন বলা হল। আমরা যদি মঙ্গল গ্রহের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে বুঝতে পারব, মঙ্গল গ্রহে কোন চুম্বকীয় ক্ষেত্রের স্তর নেই। আর এ জন্যই সেখানে বায়ুমন্ডলের স্তরও নেই এবং নেই কোন প্রাণের অস্তিত্ব। চুম্বকীয় ক্ষেত্রের এই স্তরটির কারণেই পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব আছে আর এ জন্যই একে সুরক্ষিত ছাদ বা প্রতিরক্ষার পোশাক বলা হয়েছে।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে এই অদৃশ্য স্তরের কথা জানলেন অথচ এ স্তরটি নির্নয়ের কোন প্রযুক্তিই ঐ আমলে ছিলনা? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।