কালো পানি (Super ionic Water)
আজ থেকে প্রায় ১৪৫০ বছর আগে হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর যুগে মানুষেরা ভাবত পানি কেবলমাত্র স্বচ্ছ একটি তরল পদার্থ। তখন কেউ বিশ্বাস করতে পারতনা যে, পানির রঙ কালো হতে পারে। কিন্তু, আধুনিক বিজ্ঞান থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, অত্যন্ত উচ্চ চাপে এবং তাপমাত্রায়, পানি এবং বরফের রঙ পরিবর্তন হয়ে কালো হয়ে যায়। অত্যন্ত উচ্চ চাপে তখন পানির তরল অবস্থা পরিবর্তিত হয়। পানি তখন কিছুটা বরফের মত কঠিন আবার কিছুটা তরল অবস্থায় থাকে। সম্প্রতি, বিজ্ঞানীরা গবেষনাগারে অত্যন্ত উচ্চ চাপে এবং তাপমাত্রায় পানির অবস্থা যে কালো হয় তা আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। গবেষনাগারে যে বরফ উৎপন্ন হয়েছে তার ঘনত্ব সাধারণ বরফের তুলনায় প্রায় চারগুন এবং তখন সেই বরফের রঙ কালো হয়ে যায়। বিজ্ঞানীদের মতে এই ধরনের বেশি ঘনত্বের কালো বরফ আমাদের পৃথিবীতে পাওয়া যাবেনা বরং, বড় বড় এবং প্রচুর ঠাণ্ডা গ্রহের (যেমন ইউরেনাস ও নেপচুনের) উপরিভাগে এ ধরনের কালো বরফ পাওয়া যেতে পারে।কালো পানি বা সুপারসনিক পানি তৈরী করতে অত্যন্ত উচ্চ চাপ এবং তাপমাত্রার প্রয়োজন। এই ধরনের কালো পানির সান্দ্রতাও বা আঠালো হবার পরিমাণও, সাধারণ পানি থেকে বেশি। কোরআনে (১৮:২৯) উল্লেখ করা হয়েছে, জাহান্নামের পানি আলকাতরার মত কালো হবে।
٢٩ وَقُلِ الْحَقُّ مِنْ رَبِّكُمْ ۖ فَمَنْ شَاءَ فَلْيُؤْمِنْ وَمَنْ شَاءَ فَلْيَكْفُرْ ۚ إِنَّا أَعْتَدْنَا لِلظَّالِمِينَ نَارًا أَحَاطَ بِهِمْ سُرَادِقُهَا ۚ وَإِنْ يَسْتَغِيثُوا يُغَاثُوا بِمَاءٍ كَالْمُهْلِ يَشْوِي الْوُجُوهَ ۚ بِئْسَ الشَّرَابُ وَسَاءَتْ مُرْتَفَقًا
অর্থঃ(হে নবী,) তুমি বলো, এ সত্য (দ্বীন) তোমাদের মালিকের পক্ষ থেকে এসেছে। সুতরাং, যার ইচ্ছা সে (এর উপর) ঈমান আনুক, আর যার ইচ্ছা সে (তা) অস্বীকার করুক, আমিতো এ (অস্বীকারকারী) জালেমদের জন্যে এমন এক আগুন প্রস্তুত করে রেখেছি, যার বেষ্টনী তাদের পুরোপুরিই বেষ্টন করে রাখবে; যখন তারা (পানির জন্যে) ফরিয়াদ করতে থাকবে, তখন এমন এক গলিত ধাতুর মতন পানীয় তাদের দেয়া হবে, যা তাদের সমগ্র মুখমণ্ডল জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিবে, কী ভীষন (হবে সে) পানীয়, আর কী নিকৃষ্ট হবে তার আশ্রয়ের স্থানটি!
And say, “The truth is from your Lord. Whoever wills let him believe. And whoever wills let him disbelieve”. We (Allah is one and only) have prepared for the unjust a Fire, whose curtains will hem them in. And when they cry for relief, they will be relieved with water like tar, which scalds the faces. What a miserable drink, and what a terrible place.
উপরেরআয়াতে ‘মুহল’ অর্থ আলকাতরা, আলকাতরা হল কালো এবং ঘন একটি পদার্থ। আধুনিক বিজ্ঞানের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, প্রচন্ড চাপে এবং তাপমাত্রায় পানি দেখতে আলকাতরার মত কালো ও ঘন হয়ে যায়। জাহান্নামে প্রচণ্ড চাপ এবং উচ্চ তাপমাত্রা থাকবে।
যারা বলে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ)কোরআন রচনা করেছেন তাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কিভাবে জানলেন উচ্চ চাপ ও তাপমাত্রায় পানি ও বরফের রঙ কালো হতে পারে এবং জাহান্নামের পানির রঙ কালো? তিনি কি এ বিষয়ের উপর গবেষণা করে তারপর এই কোরআন রচনা করেছিলেন? নাউযুবিল্লাহ। কোরআন আল্লাহর বানী।